ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন বিএনপির  উদ্দ্যোগে ইফতার মাহফিল পাবনায় নসিমন-সিএনজি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিলের প্রতিবাদে পাবনায় মানববন্ধন বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ড. ইউনূসকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি কূটনীতিকের স্ট্যাটাস বাংলাদেশের সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে: জাতিসংঘের মহাসচিব যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাশিয়ার দাবিনামা পেশ ইউরোপের বিরুদ্ধে ইউক্রেন সংকট সমাধানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনুস ও আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠক নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া

ড. ইউনূসকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি কূটনীতিকের স্ট্যাটাস

পালিয়ে যাওয়া কূটনীতিক হারুন-উর রশিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতায় আসা নিয়ে বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দিয়েছেন কানাডায় পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত হারুন-উর রশিদ। ড. ইউনূস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন। হারুন-উর রশিদ মরক্কোতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং আমার জন্য একটি আবেদন। বিষয়: ড. ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশের নৈরাজ্যের দিকে পতন- বিশ্বের নীরবতা বেদনাদায়ক।

শুরুতে তিনি বলেন, মানবতার বিবেকের কাছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছড়িয়ে দেওয়া বর্বরতার কবলে বাংলাদেশ। লাখ লাখ মানুষ একটি অসম্ভব বাস্তবতার মুখোমুখি। তাদের জন্য হয় মৃত্যু, নির্বাসন অথবা মৌলবাদী চরমপন্থা।

৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে, জাতি তার সবচেয়ে অন্ধকারতম পতিত হয়েছিল- একটি সূক্ষ্মভাবে সমন্বিত সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে তার ভিত্তি ভেঙে দেয়। তখন দেশ জ্বলছিল এবং শৃঙ্খলা ধ্বসে পড়েছিল। এমন সময়ে ড. ইউনূস অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে নেন।

ইতিহাস এটাকে কীভাবে মনে রাখবে? সম্ভবত সবচেয়ে বিধ্বংসী সফল সন্ত্রাসবাদ এটি, যা রাতারাতি একটি পুরো জাতিকে নতুন করে তৈরি করেছে।

একটি সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের উত্থান: একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র

বহু বছর ধরে, পিনাকী ভট্টাচার্য এবং ইলিয়াস হোসেনের মতো ডিজিটাল সন্ত্রাসীরা পশ্চিমা দেশগুলোকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে উগ্রবাদের বিস্তার ঘটিয়েছেন। তারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অনলাইনে যুদ্ধ চালিয়েছে, ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে এবং অশান্তি সৃষ্টি করছে। ফ্রান্স থেকে পিনাকী এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলিয়াস ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ধ্বংসযজ্ঞের আয়োজন করেছে, যা একটি চরম নৃশংসতা এবং অপরাধমূলক কাজ।

এদিকে ফরহাদ মজহার, জাহেদুর রহমানের মতো জিহাদীরা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বাকস্বাধীনতার নীতির সুযোগে উগ্রপন্থার প্রচার ঘটিয়েছে। তাদের প্রচারণায় হিন্দু এবং ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছে। শুধু এই কারণে যে, হিন্দুরা তার শাসনের অধীনে নিরাপদ ছিল। তাদের প্রচারণা ভারতবিরোধী আবেগকে একটি মানসিক ব্যাধিতে রূপান্তরিত করেছে, যা বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে উগ্রপন্থার জন্য সংবেদনশীল।

বাংলাদেশের পরিচয় ধ্বংস করতে ড. ইউনূসের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই উগ্রপন্থিরা বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে উৎখাত করে দিয়েছে, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে মুছে দিয়েছে। তারা শুধু জাদুঘর (ধানমন্ডি ৩২), ম্যুরাল, ভাস্কর্য এবং সাংস্কৃতিক চিহ্ন ধ্বংস করেনি; তারা শত শত মাজার এবং হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস করেছে। ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি নারীদের নির্যাতনকারী দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। সংখ্যালঘু এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ক্রমাগত অতংকের মধ্যে রয়েছে। যখন হিজবুত-তাহরির, আইএস এবং আল-কায়েদা তাদের লাল ও কালো পতাকা উড়িয়ে খোলাখুলিভাবে ইসলামী ধর্মানুশাসন দাবি করছে, জুলাই-আগস্ট সন্ত্রাসীরা এদের মধ্য থেকেই এসেছে।

কিন্তু ইউনূস তাদের রক্ষাই শুধু করেননি- তিনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন। তার সরকার উগ্রপন্থিদের মন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। যাদের তিনি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি, তাদের রাজনৈতিক দল গঠন করার অনুমতি দিয়ে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

ড. ইউনূসকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি কূটনীতিকের স্ট্যাটাস

আপডেট সময় ০৬:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতায় আসা নিয়ে বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দিয়েছেন কানাডায় পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত হারুন-উর রশিদ। ড. ইউনূস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন। হারুন-উর রশিদ মরক্কোতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং আমার জন্য একটি আবেদন। বিষয়: ড. ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশের নৈরাজ্যের দিকে পতন- বিশ্বের নীরবতা বেদনাদায়ক।

শুরুতে তিনি বলেন, মানবতার বিবেকের কাছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছড়িয়ে দেওয়া বর্বরতার কবলে বাংলাদেশ। লাখ লাখ মানুষ একটি অসম্ভব বাস্তবতার মুখোমুখি। তাদের জন্য হয় মৃত্যু, নির্বাসন অথবা মৌলবাদী চরমপন্থা।

৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে, জাতি তার সবচেয়ে অন্ধকারতম পতিত হয়েছিল- একটি সূক্ষ্মভাবে সমন্বিত সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে উৎখাত করে তার ভিত্তি ভেঙে দেয়। তখন দেশ জ্বলছিল এবং শৃঙ্খলা ধ্বসে পড়েছিল। এমন সময়ে ড. ইউনূস অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে নেন।

ইতিহাস এটাকে কীভাবে মনে রাখবে? সম্ভবত সবচেয়ে বিধ্বংসী সফল সন্ত্রাসবাদ এটি, যা রাতারাতি একটি পুরো জাতিকে নতুন করে তৈরি করেছে।

একটি সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের উত্থান: একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র

বহু বছর ধরে, পিনাকী ভট্টাচার্য এবং ইলিয়াস হোসেনের মতো ডিজিটাল সন্ত্রাসীরা পশ্চিমা দেশগুলোকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে উগ্রবাদের বিস্তার ঘটিয়েছেন। তারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অনলাইনে যুদ্ধ চালিয়েছে, ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে এবং অশান্তি সৃষ্টি করছে। ফ্রান্স থেকে পিনাকী এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলিয়াস ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ধ্বংসযজ্ঞের আয়োজন করেছে, যা একটি চরম নৃশংসতা এবং অপরাধমূলক কাজ।

এদিকে ফরহাদ মজহার, জাহেদুর রহমানের মতো জিহাদীরা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বাকস্বাধীনতার নীতির সুযোগে উগ্রপন্থার প্রচার ঘটিয়েছে। তাদের প্রচারণায় হিন্দু এবং ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছে। শুধু এই কারণে যে, হিন্দুরা তার শাসনের অধীনে নিরাপদ ছিল। তাদের প্রচারণা ভারতবিরোধী আবেগকে একটি মানসিক ব্যাধিতে রূপান্তরিত করেছে, যা বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে উগ্রপন্থার জন্য সংবেদনশীল।

বাংলাদেশের পরিচয় ধ্বংস করতে ড. ইউনূসের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই উগ্রপন্থিরা বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে উৎখাত করে দিয়েছে, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে মুছে দিয়েছে। তারা শুধু জাদুঘর (ধানমন্ডি ৩২), ম্যুরাল, ভাস্কর্য এবং সাংস্কৃতিক চিহ্ন ধ্বংস করেনি; তারা শত শত মাজার এবং হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস করেছে। ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি নারীদের নির্যাতনকারী দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। সংখ্যালঘু এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ক্রমাগত অতংকের মধ্যে রয়েছে। যখন হিজবুত-তাহরির, আইএস এবং আল-কায়েদা তাদের লাল ও কালো পতাকা উড়িয়ে খোলাখুলিভাবে ইসলামী ধর্মানুশাসন দাবি করছে, জুলাই-আগস্ট সন্ত্রাসীরা এদের মধ্য থেকেই এসেছে।

কিন্তু ইউনূস তাদের রক্ষাই শুধু করেননি- তিনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন। তার সরকার উগ্রপন্থিদের মন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। যাদের তিনি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি, তাদের রাজনৈতিক দল গঠন করার অনুমতি দিয়ে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।