যশোরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম বলেছেন, “বিগত ১৭ বছর আমরা অত্যান্ত ভয়াবহ দুঃসময় পার করেছি। গেল রমজান মাসেও যশোরের অসংখ্যা নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন। প্রিয়জন ছাড়াই কারাগারে তাদের ঈদ উদযাপন হয়েছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে সেই অবস্থা থেকে সাময়িক মুক্তি মিলেছে। কিন্তু এর পেছনে অনেক ব্যথা, বেদনা, অশ্রু, অসংখ্যা তাজা প্রাণের আত্মত্যাগ রয়েছে। সেটি ভুলে গেলে চলবে না।”
শুক্রবার (১৪ মার্চ) যশোর মহানগর বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ড শাখা আয়োজিত দোয়া ও ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন মাঠে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম প্রেস ক্লাব যশোরে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জেলা শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ায় অনুষ্ঠানে জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য নিজামুদ্দিন অমিত তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
আলোচনা সভায় অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম আরও বলেন, “শেখ হাসিনার দুষ্কর্মের কথা বেশি বেশি করে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে, যাতে করে তার দোসররা কোনোভাবেই সমাজে মাথাচাড়া দিতে না পারে। কোথাও ফ্যাসিবাদের দুইজন দোসরকে একসাথে বসতে দেওয়া যাবে না। কারণ তারা দুইজন থেকে তিনজন হয়ে পুনরায় সংঘবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে। এ থেকে আমাদের সকলকে সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে।”
সমাজের সকল স্তর থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা জনগণের দুশমন। আর নির্যাতিত-নিপীড়ত জনগণ আমাদের বন্ধু। আমরা সেই নির্যাতিত-নিপীড়িত জনগণের জন্য রাজনীতি করি। দীর্ঘ ১৭ বছর সেই তাদের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছি। আমাদের সামনে লক্ষ্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। তাহলে আমরা সত্যিকার অর্থে একটি জনবান্ধব গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে আমাদের কাজ করতে হবে।”
নগর বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি রাশেদ আব্বাস রাজে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপিকা ফিরোজা বুলবুল কলি, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আবু মুরাদ, বিএনপি নেতা শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু প্রমুখ।
ইফতার পূর্বে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দোয়া ও ইফতার উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মাহতাব নাসির পলাশ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম প্রমুখ।
anrrahmn59@gmail.com