ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল বোয়ালখালী শাকপুরা প্রবর্ত্তক পাইলট কন্যা বিদ্যাপীঠের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন পেয়ার মোহাম্মদ কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মণিপুরী ললিতকলায় ৭ দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা ছুরিকাঘাতে জখম শিবগঞ্জে ২ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা, দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ড নীলফামারীতে ১৫ মার্চ ৩ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বাংলাদেশে খুনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কখনো ফিরে আসার সুযোগ নেই: আমানউল্লাহ আমান শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পাঁচ সফল প্রতিবন্ধী নারীকে সম্মাননা প্রদান রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার রায়পুরে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৬

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফা দাবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যা, বিগত ১৬ বছরে গুম-খুন, অর্থ পাচারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্রুত বিচার এবং রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৫ দফা দাবি পেশ করেছে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠানো স্মারকলিপিতে বলা হয়, “বিগত ১৬ বছরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, লুটপাট, অর্থপাচার এবং গণহত্যার মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।”

আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুই ঘটিকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮২৬ জন শহীদ এবং ১১ হাজার ৩০৬ জন আহতের সরকারি তথ্য রয়েছে। তবে আন্দোলনকারী নেতাদের দাবি অনুযায়ী প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪-এ পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় স্মারকলিপিতে।

গণঅধিকার পরিষদের অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও অডিও রেকর্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তার সমর্থকরা গুপ্ত হামলা, ঝটিকা মিছিল এবং নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে।

৫ দফা দাবিগুলো হচ্ছে:

১. জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিগত ১৬ বছরের আন্দোলনে আহতদের তালিকা প্রণয়ন, ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

২. গণহত্যাকারীদের বিচার, পলাতক শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত ও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি।

৩. লুটপাট-অর্থ পাচারের বিচার, অর্থ পাচার ও লুটপাটে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করা।

৪. রাষ্ট্র সংস্কার, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।

৫. গুম-খুনের বিচার এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের সাথে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্মস্থল ত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: আব্দুর রশীদ মিয়া

Verified by MonsterInsights

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফা দাবি

আপডেট সময় ০৪:৪৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যা, বিগত ১৬ বছরে গুম-খুন, অর্থ পাচারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্রুত বিচার এবং রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৫ দফা দাবি পেশ করেছে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠানো স্মারকলিপিতে বলা হয়, “বিগত ১৬ বছরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, লুটপাট, অর্থপাচার এবং গণহত্যার মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।”

আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুই ঘটিকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮২৬ জন শহীদ এবং ১১ হাজার ৩০৬ জন আহতের সরকারি তথ্য রয়েছে। তবে আন্দোলনকারী নেতাদের দাবি অনুযায়ী প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪-এ পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় স্মারকলিপিতে।

গণঅধিকার পরিষদের অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও অডিও রেকর্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তার সমর্থকরা গুপ্ত হামলা, ঝটিকা মিছিল এবং নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে।

৫ দফা দাবিগুলো হচ্ছে:

১. জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিগত ১৬ বছরের আন্দোলনে আহতদের তালিকা প্রণয়ন, ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

২. গণহত্যাকারীদের বিচার, পলাতক শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত ও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি।

৩. লুটপাট-অর্থ পাচারের বিচার, অর্থ পাচার ও লুটপাটে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করা।

৪. রাষ্ট্র সংস্কার, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।

৫. গুম-খুনের বিচার এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের সাথে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা।