ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
রামগঞ্জে প্রতারণা-চাঁদাবাজি-ভূমি দস্যুতা ও শ্লীলতাহানীসহ ৮ মামলার আসামী যুবলীগ নেতা সিঙ্গার ফারুক গ্রেপ্তার বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে অধ্যাপিকা নার্গিস বেগমকে ফুলেল শুভেচ্ছা বিগত ১৭ বছর অত্যন্ত ভয়াবহ দুঃসময় পার হয়েছে: নার্গিস বেগম কমলগঞ্জে মুণ্ডা, ওঁরাও, খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর বাহা উৎসব অনুষ্ঠিত বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন বিএনপির  উদ্দ্যোগে ইফতার মাহফিল পাবনায় নসিমন-সিএনজি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিলের প্রতিবাদে পাবনায় মানববন্ধন বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ড. ইউনূসকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি কূটনীতিকের স্ট্যাটাস বাংলাদেশের সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে: জাতিসংঘের মহাসচিব

কোকাকোলায় মিলল উচ্চমাত্রায় ক্লোরেট রাসায়নিক

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় কোকাকোলায় উচ্চমাত্রায় ক্লোরেট রাসায়নিক পাওয়ার পর ইউরোপের কয়েকটি দেশ এই পানীয় বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে কিছু কোকাকোলা পণ্য বিশেষ করে ক্যান এবং কাচের বোতলে ক্লোরেটের উপস্থিতি পাওয়া যায়, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশু এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য।

কোকাকোলা জানায়, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ এবং নেদারল্যান্ডসে এই ক্লোরেট সমৃদ্ধ পণ্য বিতরণ করা হয়েছিল এবং পরে ৫টি পণ্য লাইন ব্রিটেনে পাঠানো হয়, যার কিছু পণ্য ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। তবে কতগুলো পণ্য প্রত্যাহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি কোকাকোলার কর্তৃপক্ষ।

ক্লোরেট হলো একটি রাসায়নিক যা সাধারণত পানি শোধন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক থেকে উৎপন্ন হয়। খাদ্যে বা পানীয়তে উচ্চমাত্রায় ক্লোরেট থাকলে এটি শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে কোকাকোলার ফরাসি শাখা জানিয়েছে, তারা স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে ক্লোরেটের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখেছে এবং যে মাত্রায় এটি উপস্থিত রয়েছে তা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

এর আগে, ২০১৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফুড সেফটি অথরিটি (EFSA) ক্লোরেট নিয়ে গবেষণা চালিয়ে জানিয়েছিল যে, খাবার বা পানীয় প্রস্তুত করতে ক্লোরেট ব্যবহার করা হলে নির্দিষ্ট মাত্রায় কোনো সমস্যা নেই। যদিও কোকাকোলার কোনো গ্রাহক এই বিষয়ে অভিযোগ করেনি, ইউরোপীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বাজার থেকে পণ্য প্রত্যাহার করছে।

বিশ্বব্যাপী কোকাকোলার ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও এই ঘটনা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে, বিশেষত এই পণ্য প্রত্যাহারের পর।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রামগঞ্জে প্রতারণা-চাঁদাবাজি-ভূমি দস্যুতা ও শ্লীলতাহানীসহ ৮ মামলার আসামী যুবলীগ নেতা সিঙ্গার ফারুক গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

কোকাকোলায় মিলল উচ্চমাত্রায় ক্লোরেট রাসায়নিক

আপডেট সময় ০৬:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় কোকাকোলায় উচ্চমাত্রায় ক্লোরেট রাসায়নিক পাওয়ার পর ইউরোপের কয়েকটি দেশ এই পানীয় বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে কিছু কোকাকোলা পণ্য বিশেষ করে ক্যান এবং কাচের বোতলে ক্লোরেটের উপস্থিতি পাওয়া যায়, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশু এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য।

কোকাকোলা জানায়, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ এবং নেদারল্যান্ডসে এই ক্লোরেট সমৃদ্ধ পণ্য বিতরণ করা হয়েছিল এবং পরে ৫টি পণ্য লাইন ব্রিটেনে পাঠানো হয়, যার কিছু পণ্য ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। তবে কতগুলো পণ্য প্রত্যাহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি কোকাকোলার কর্তৃপক্ষ।

ক্লোরেট হলো একটি রাসায়নিক যা সাধারণত পানি শোধন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক থেকে উৎপন্ন হয়। খাদ্যে বা পানীয়তে উচ্চমাত্রায় ক্লোরেট থাকলে এটি শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে কোকাকোলার ফরাসি শাখা জানিয়েছে, তারা স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে ক্লোরেটের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখেছে এবং যে মাত্রায় এটি উপস্থিত রয়েছে তা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

এর আগে, ২০১৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফুড সেফটি অথরিটি (EFSA) ক্লোরেট নিয়ে গবেষণা চালিয়ে জানিয়েছিল যে, খাবার বা পানীয় প্রস্তুত করতে ক্লোরেট ব্যবহার করা হলে নির্দিষ্ট মাত্রায় কোনো সমস্যা নেই। যদিও কোকাকোলার কোনো গ্রাহক এই বিষয়ে অভিযোগ করেনি, ইউরোপীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বাজার থেকে পণ্য প্রত্যাহার করছে।

বিশ্বব্যাপী কোকাকোলার ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও এই ঘটনা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে, বিশেষত এই পণ্য প্রত্যাহারের পর।