ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বিএনপিতে কোনো বেয়াদবের জায়গা থাকবে না: হীরা মানুষের কাজ করতে হবে হৃদয় উজার করে: মহসিন মিয়া মধু পাবনা জেল সুপারের মানবিকতায় কারাগার থেকে নিজ দেশে ফিরে গেলেন নেপালী যুবক পাবনায় শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন: পিআইও আবুল কালাম আজাদ ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মির্জাপুরে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করায় যুবক গ্রেপ্তার রমজানে ৫০০ জন রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে “মানুষের পাশে আমরা, যশোর” বিজিবির অভিযানে ২০ লাখ টাকার মাদকসহ আটক ১০ বিবেকের জাগরণ: কখন আসবে আমাদের চেতনার আলো? রাজশাহীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগীরা বদলগাছীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হাসিনা পুত্র জয়ের

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে জয়কে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রম ও বিলাসবহুল গাড়ির মালিকানার দাবি। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে জয় নিজের অবস্থান তুলে ধরে বলেছেন, তাঁর স্ত্রী ক্রিস্টিনের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে, যা বহু আগে থেকেই জানা ছিল।

বিষয়টি নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, এফবিআই-এর তদন্ত রিপোর্টটি ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্বারা পূর্ণ।

তিনি বলেন, এফবিআই তদন্তকারীরা অসাবধানতার কারণে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে, যা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

তাঁর দাবি, অনেক তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যেমন গাড়ির তালিকা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে।

তিনি জানান, একমাত্র একটি গাড়ি ছাড়া বাকি গাড়িগুলোর অধিকাংশই তিনি ২০ বছর আগে বিক্রি করেছেন।

এফবিআই-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সজীব ওয়াজেদ জয় বিলাসবহুল আটটি গাড়ির মালিক, এবং তাঁর সঙ্গে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ রয়েছে।

তাছাড়া, মার্কিন দুইটি রাজ্যে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রমেরও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে জয় এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেন, তাঁরা কখনও কোনো সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং অর্থ উপার্জন করেননি।

এই তদন্ত রিপোর্ট গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

তবে জয় দাবি করেছেন, এফবিআই রিপোর্টের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি আরো বলেন, তদন্তকারী এজেন্ট ও আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই অবসর নিয়েছেন বা মারা গেছেন, আর রিপোর্টে উল্লেখিত তথ্যগুলো বহু পুরনো।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা

Verified by MonsterInsights

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হাসিনা পুত্র জয়ের

আপডেট সময় ০৫:০০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে জয়কে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রম ও বিলাসবহুল গাড়ির মালিকানার দাবি। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে জয় নিজের অবস্থান তুলে ধরে বলেছেন, তাঁর স্ত্রী ক্রিস্টিনের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে, যা বহু আগে থেকেই জানা ছিল।

বিষয়টি নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, এফবিআই-এর তদন্ত রিপোর্টটি ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্বারা পূর্ণ।

তিনি বলেন, এফবিআই তদন্তকারীরা অসাবধানতার কারণে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে, যা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

তাঁর দাবি, অনেক তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যেমন গাড়ির তালিকা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে।

তিনি জানান, একমাত্র একটি গাড়ি ছাড়া বাকি গাড়িগুলোর অধিকাংশই তিনি ২০ বছর আগে বিক্রি করেছেন।

এফবিআই-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সজীব ওয়াজেদ জয় বিলাসবহুল আটটি গাড়ির মালিক, এবং তাঁর সঙ্গে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ রয়েছে।

তাছাড়া, মার্কিন দুইটি রাজ্যে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রমেরও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে জয় এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেন, তাঁরা কখনও কোনো সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং অর্থ উপার্জন করেননি।

এই তদন্ত রিপোর্ট গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

তবে জয় দাবি করেছেন, এফবিআই রিপোর্টের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি আরো বলেন, তদন্তকারী এজেন্ট ও আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই অবসর নিয়েছেন বা মারা গেছেন, আর রিপোর্টে উল্লেখিত তথ্যগুলো বহু পুরনো।