ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল নিষিদ্ধ হবে: মির্জা ফখরুল বাজিতপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি সাকের, সাধারণ সম্পাদক ফাত্তাহ মির্জাপুরে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” এর পরিবর্তিত নাম “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” বোয়ালখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা কিশোরগঞ্জে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত নবীনগর প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি শান্তি, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল অবৈধভাবে পুকুর খননের মাটি বিক্রির অপরাধে দেড় লাখ টাকা জরিমানা মাগুরায় “ডেভিল হান্ট” অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ জন গ্রেপ্তার ফুলবাড়ীতে সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে অনগ্রসরদের অধিকতর অন্তর্ভুক্তি শীর্ষক কর্মশালা শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ঋতুরাজ বসন্ত বরণ উৎসব এর উদ্বোধন

মিয়া নুরুদ্দিন অপুকে মানিলন্ডারিং মামলায় বেকসুর খালাস

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব, ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের জনপ্রিয় প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুকে মানিলন্ডারিং মামলায় বেকসুর খালাস প্রদান করেছে জেলা জজ আদালত।

আজ (২৭ জানুয়ারি) জেলা জজ আদালতের বিশেষ জজ রেজাউল করিম মিয়া নুরুদ্দিন অপুকে খালাস প্রদান করেন।

অপুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানিয়েছেন, তার মক্কেলকে সম্পূর্ণ বানোয়াট মানিলন্ডারিং মামলায় জড়ানো হয়েছিল এবং দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা হয়েছিল। বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক রুল জারি করে অপুকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং খালাসের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের পর ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার’ পর ৬ আগস্ট মুক্তি পান অপু।

মামলার বিস্তারিত অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র‍্যাব মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যাতে ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও ২০১৩ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়। র‍্যাব-৩ এর অভিযানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম হায়দার আলী আটক হয়ে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু এবং আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

মামলার শুরুতেই সরকার বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে অপুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা অপুর ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং মামলা করা হয়।

২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি অপুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একাধিক মিথ্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে নির্যাতন করা হয়, যা তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতিতে পরিণত হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

Verified by MonsterInsights

মিয়া নুরুদ্দিন অপুকে মানিলন্ডারিং মামলায় বেকসুর খালাস

আপডেট সময় ০৭:৫১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব, ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের জনপ্রিয় প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুকে মানিলন্ডারিং মামলায় বেকসুর খালাস প্রদান করেছে জেলা জজ আদালত।

আজ (২৭ জানুয়ারি) জেলা জজ আদালতের বিশেষ জজ রেজাউল করিম মিয়া নুরুদ্দিন অপুকে খালাস প্রদান করেন।

অপুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানিয়েছেন, তার মক্কেলকে সম্পূর্ণ বানোয়াট মানিলন্ডারিং মামলায় জড়ানো হয়েছিল এবং দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা হয়েছিল। বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক রুল জারি করে অপুকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং খালাসের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের পর ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার’ পর ৬ আগস্ট মুক্তি পান অপু।

মামলার বিস্তারিত অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র‍্যাব মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যাতে ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও ২০১৩ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়। র‍্যাব-৩ এর অভিযানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম হায়দার আলী আটক হয়ে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু এবং আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

মামলার শুরুতেই সরকার বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে অপুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা অপুর ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং মামলা করা হয়।

২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি অপুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একাধিক মিথ্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে নির্যাতন করা হয়, যা তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতিতে পরিণত হয়।