বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব, ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের জনপ্রিয় প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুকে মানিলন্ডারিং মামলায় বেকসুর খালাস প্রদান করেছে জেলা জজ আদালত।
আজ (২৭ জানুয়ারি) জেলা জজ আদালতের বিশেষ জজ রেজাউল করিম মিয়া নুরুদ্দিন অপুকে খালাস প্রদান করেন।
অপুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানিয়েছেন, তার মক্কেলকে সম্পূর্ণ বানোয়াট মানিলন্ডারিং মামলায় জড়ানো হয়েছিল এবং দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা হয়েছিল। বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক রুল জারি করে অপুকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং খালাসের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের পর ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার’ পর ৬ আগস্ট মুক্তি পান অপু।
মামলার বিস্তারিত অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র্যাব মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যাতে ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও ২০১৩ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়। র্যাব-৩ এর অভিযানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম হায়দার আলী আটক হয়ে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু এবং আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলার শুরুতেই সরকার বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে অপুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা অপুর ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং মামলা করা হয়।
২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি অপুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একাধিক মিথ্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে নির্যাতন করা হয়, যা তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতিতে পরিণত হয়।