ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
প্রধান উপদেষ্টাকে পিএলও মহাসচিবের ধন্যবাদ ৫৯ হাজার কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ ঢাকা কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে মুভি দেখে ডাকাতি, ৩ তরুণকে গ্রেপ্তার শাহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত ইস্যু নিষ্পত্তি করার আহ্বান ড. ইউনূসের যশোরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো অস্ত্র-সদৃশ্য ভিডিওর আসল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় বগুড়ায় নিখোঁজের ৩ দিন পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার বল্লভপুর বাওড় থেকে চার মাসে কোটি টাকার মাছ লুট হারানো মোবাইল পেয়ে খুশি আবুল কালাম আজাদ দৌলতপুর সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার তারেক রহমানের নির্দেশ, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে: মহসিন মিয়া মধু

শাহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত ইস্যু নিষ্পত্তি করার আহ্বান ড. ইউনূসের

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ইসলামাবাদ ও ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত ১৯ ডিসেম্বর মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান ড. ইউনূস।

বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে একমত হন। উভয় নেতাই চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি আঞ্চলিক সংস্থা সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের চলমান রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির বিষয়ে কথা বলেছেন ড. ইউনূস।

ড. ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো বারবার উঠে আসছে, সেগুলোর সমাধান করা উচিৎ যাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়। তিনি জানান, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই বিষয়গুলোর চিরস্থায়ী সমাধান জরুরি।

শাহবাজ শরিফ জবাবে বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী এসব বিষয় সমাধান হয়ে গেছে, তবে যদি কিছু অমীমাংসিত ইস্যু থাকে, সেগুলোর সমাধানে তিনি সদর্থক মনোভাব পোষণ করবেন। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত এবং দেশটির চিনিকলগুলোর উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ডেঙ্গু মহামারিতে মৃত্যুর ঘটনায় তিনি শোক প্রকাশ করে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের সহায়তা লাভের কথা বলেন।

এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্প্রসারণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য তিনি দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টাকে পিএলও মহাসচিবের ধন্যবাদ

শাহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত ইস্যু নিষ্পত্তি করার আহ্বান ড. ইউনূসের

আপডেট সময় ০৩:৪৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ইসলামাবাদ ও ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত ১৯ ডিসেম্বর মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান ড. ইউনূস।

বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে একমত হন। উভয় নেতাই চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি আঞ্চলিক সংস্থা সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের চলমান রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির বিষয়ে কথা বলেছেন ড. ইউনূস।

ড. ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো বারবার উঠে আসছে, সেগুলোর সমাধান করা উচিৎ যাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়। তিনি জানান, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই বিষয়গুলোর চিরস্থায়ী সমাধান জরুরি।

শাহবাজ শরিফ জবাবে বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী এসব বিষয় সমাধান হয়ে গেছে, তবে যদি কিছু অমীমাংসিত ইস্যু থাকে, সেগুলোর সমাধানে তিনি সদর্থক মনোভাব পোষণ করবেন। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত এবং দেশটির চিনিকলগুলোর উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ডেঙ্গু মহামারিতে মৃত্যুর ঘটনায় তিনি শোক প্রকাশ করে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের সহায়তা লাভের কথা বলেন।

এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্প্রসারণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য তিনি দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেন।