ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’- এ অংশগ্রহণ করলেন বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে ইসরায়েলি নেতাদের ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখলের প্রস্তাবে সমর্থন মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীকে বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করছে ভারতের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে আলোচনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘ধানমন্ডি ৩২’ মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ৪ পুলিশ সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব শেখ মুজিবকে নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক্সে পোস্টের সত্যতা! অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক

দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • সম্পাদকীয়
  • আপডেট সময় ১১:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে

নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই বাড়ছে। বাজার ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর তেমন কোনো ভমিকাই চোখে পড়ে না। বিগত কয়েক বছরে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। পলাতক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পণ্যমূল্য কমাতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়নি। যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়েছিলো।

বাজারের সেই দুঃসহ অবস্থা থেকে কীভাবে ক্রেতা- ভোক্তাকে স্বস্তি দেওয়া যায় তার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নিতে যাচ্ছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ। এরপরেও নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সর্বস্তরের মানুষের হতাশা আর ক্ষোভের যেন অন্ত নেই।

অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হলেও বাজারে গত সপ্তাহেও চালের দাম বাড়তির দিকে ছিল। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম দুই থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলা যায় না। চালের পাশাপাশি বেড়েছে ব্রয়লার মরগি ও ফার্মের ডিমের দামও। কিছুটা স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। বন্যার ধকল কেটে যাওয়ার পর সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। চালের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর বড় বড় সংস্কারের আওয়াজ উঠেছে। এসব সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা কেউ অস্বীকার করছে না। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম সীমিত আয়ের মানুষের নাগালে না রাখতে পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।

দর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বাজার নিয়ন্ত্রণে চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ সরকার নেয়নি। বাজার ব্যবস্থাপনা চলছে আগের মতোই, দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনা। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিচ্ছিন্ন ও লোক দেখানো কর্মসূচি নয়, বাজার নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষরা যেনো চাল, ডাল, আটা ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপণ্যগুলো সাশ্রয়ী দামে কিনতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বাজার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বাড়াতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধ করতে হবে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

আপডেট সময় ১১:৪২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে

নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই বাড়ছে। বাজার ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। অথচ বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর তেমন কোনো ভমিকাই চোখে পড়ে না। বিগত কয়েক বছরে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। পলাতক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পণ্যমূল্য কমাতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়নি। যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়েছিলো।

বাজারের সেই দুঃসহ অবস্থা থেকে কীভাবে ক্রেতা- ভোক্তাকে স্বস্তি দেওয়া যায় তার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নিতে যাচ্ছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ। এরপরেও নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সর্বস্তরের মানুষের হতাশা আর ক্ষোভের যেন অন্ত নেই।

অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হলেও বাজারে গত সপ্তাহেও চালের দাম বাড়তির দিকে ছিল। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম দুই থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলা যায় না। চালের পাশাপাশি বেড়েছে ব্রয়লার মরগি ও ফার্মের ডিমের দামও। কিছুটা স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। বন্যার ধকল কেটে যাওয়ার পর সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। চালের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর বড় বড় সংস্কারের আওয়াজ উঠেছে। এসব সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা কেউ অস্বীকার করছে না। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম সীমিত আয়ের মানুষের নাগালে না রাখতে পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।

দর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বাজার নিয়ন্ত্রণে চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ সরকার নেয়নি। বাজার ব্যবস্থাপনা চলছে আগের মতোই, দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনা। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিচ্ছিন্ন ও লোক দেখানো কর্মসূচি নয়, বাজার নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষরা যেনো চাল, ডাল, আটা ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপণ্যগুলো সাশ্রয়ী দামে কিনতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বাজার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বাড়াতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধ করতে হবে।