আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন জানিয়েছেন, এবার পুরো নির্বাচন ব্যালট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ব্যালট পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করব। ইভিএম পদ্ধতি আর ব্যবহার করা হবে না।”
এছাড়া, তিনি আরও জানান, কমিশন যেকোনো সময় জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত রয়েছে এবং প্রথম থেকেই এই নির্বাচন নিয়ে তারা প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে। তিনি প্রধান উপদেষ্টার দেয়া সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে সিইসি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ ন্যায্যতার ভিত্তিতে করা হবে। অতীতে যদি কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, তা খতিয়ে দেখা হবে এবং সুষ্ঠু পদ্ধতিতে কাজটি সম্পন্ন করা হবে।
ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে সিইসি জানিয়েছেন, বর্তমানে ভোটার তালিকায় অনেক অসংগতি রয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে এটি সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা হবে। তালিকা থেকে মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়া, অনুপস্থিত বা বিদেশে থাকা ভোটারদের তথ্য যাচাই করা, এবং ডুপ্লিকেট ভোটার শনাক্ত করে তালিকা সংশোধন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল (১৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির পর ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, যা অত্যন্ত কঠিন একটি প্রক্রিয়া।
এই ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির দিকে রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ মানুষ নজর রাখছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।