শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহে আসছেন বিশ্বনন্দিত ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান মুফাসির হিসাবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
তার মাহফিলকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে আয়োজক কমিটি আল ইসলাম ট্রাস্ট, ময়মনসিংহ।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন বলেন, মিজানুর রহমান আজহারী কোনো দল বা গোষ্ঠীর নন, তিনি বিশ্ববরেণ্য একজন ইসলামিক স্কলার। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। তাঁর আগমনের দিন ময়মনসিংহে লাখ লাখ মানুষ থাকবে। যেহেতু লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন, সেহেতু মানুষের কিছু অসুবিধা হতে পারে। সেজন্য তিনি সবার কাছে আগাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ইসলামের স্বার্থে আমরা সবাই এ অসুবিধা মেনে নিবেন বলে আশা করি।
বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিতির কারণে শহরে যানবাহন চলাচলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে ওইদিন। শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের আগেই বড় যানবাহনকে আটকে দেওয়া হবে। এছাড়া ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা, আকুয়া বাইপাস ও রহমতপুর বাইপাসে আটকে দেওয়া হবে বড় যানবাহন। তবে শহরের অবস্থা অনুযায়ী ইজিবাইক (অটো) চলাচল করবে। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ময়মনসিংহে। সেক্ষত্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য শহরে চলাচলে কোনো বাঁধা থাকবে না। তবে মূল শহরে যানজটের আশঙ্কায় সবাইকে বাইপস ব্যবহারের অনুরোধ জানান কামরুল হাসান মিলন।
তিনি আরও বলেন, ওই দিন পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা জনগণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ওই দিন মাহফিলে অংশ নেওয়া মহিলাদের স্বর্ণালঙ্কারের মত দামি জিনিস ব্যবহার না করতে বলেন তিনি। পুরুষেরাও প্রত্যেকে নিজের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যেন বিশেষ সর্তক থাকেন।
মাফহিলের জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে সার্কিট হাউজ মাঠ। ২ লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল ছাড়াও মাঠটিতে অবস্থান নিতে পারবেন সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা, থাকবে সিসি ক্যামেরা। ২২টি স্থানে বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে মাহফিল।
মাহফিলকে সফল করার লক্ষ্যে বিএনপি ও জামায়েত ইসলামীসহ ইসলামী দলগুলো একযোগে কাজ করছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সঙ্গে আয়োজকদের সঙ্গে সভা হয়েছে।
সকাল দশটায় শুরু হওয়া মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে আসরের নামাজের পর।