বিশ্বের ১২৩ শহরের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) সূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ২৬৩, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়ানগুন, যেখানে স্কোর ২১৮, এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, যার স্কোর ২০৪। এছাড়া, নেপালের কাঠমান্ডু চতুর্থ এবং আফগানিস্তানের কাবুল পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে, যথাক্রমে ১৯৯ এবং ১৭৮ স্কোর নিয়ে।
আইকিউএয়ার, সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক একটি বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান, এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে। এটি প্রতিমুহূর্তে একটি শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত হচ্ছে, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য প্রদান করে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে গণ্য হয়, ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি, ১০১ থেকে ১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ অস্বাস্থ্যকর এবং ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত স্কোর খুবই অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ৩০১-এর বেশি স্কোর দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে, যা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষত, শিশু, প্রবীণ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোনের (ও৩) ওপর ভিত্তি করে।
২০১৯ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হিসেবে ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ সাইটের ধুলা চিহ্নিত করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুযায়ী, বায়ুদূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণজনিত মৃত্যু বাড়ছে, এবং বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যাচ্ছে।