ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে ভিজিডির সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে উদ্যোক্তা যশোরে গত ৪ মাসে ১০টি দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও ২০টি দুঃসাহসিক চুরি, পুলিশ পরিচয়ে অপরাধ ঘটছে বেশি দৌলতপুরে ভুয়া সাংবাদিকের কারাদণ্ড বগুড়ায় আত্মীয়ের লাশ দাফন করে ফেরার পথে লাশ হলেন রেহেনা মানহানির মামলায় বিচার শুরু ম্যাজিস্ট্রেট উর্মির শুল্ক আরোপ স্থগিত করে সমঝোতায় ট্রাম্প! ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন ডব্লিউএইচও প্রধান অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু মুখোমুখি প্রেস সচিব-ময়ূখ সারাদেশে শুষ্ক আবহাওয়া, তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এইচআরডব্লিউ ভৈরবে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ৪০

সিটি করপোরেশন-পৌরসভা-ইউপি নির্বাচন করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, এবং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য পদে সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিজীবীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশ চূড়ান্ত করতে কমিশন মাঠপর্যায়ে মতামত গ্রহণ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছে। এখন ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে, যা ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে জমা দেওয়ার আশা করা হচ্ছে।

কমিশন সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন এবং চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে হলে স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের যোগ্যতা থাকতে হবে। এছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সরাসরি ভোটে মেয়র নির্বাচিত হতে পারবেন না, কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত হবে।

এছাড়া ইউপি সদস্যদের মধ্যে একজন সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবে এবং তাকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। নতুন সুপারিশ কার্যকর হলে, নিরক্ষর বা অল্প শিক্ষিতরা আর স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এতে প্রভাবশালী ও অদক্ষ প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার পথ বন্ধ হবে এবং শিক্ষিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ এবং কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ বলেন, “সারা দেশ থেকে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, দল, পেশিশক্তি এবং অর্থের কারণে শিক্ষিত লোকজন জনপ্রতিনিধি হতে পারতেন না। নিরক্ষর ব্যক্তিরা অনেক সময় নির্বাচনে জয়ী হতেন, কিন্তু এখন সেই সুযোগ বন্ধ হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হল, শিক্ষিত ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হোন এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারেন।”

এ পরিবর্তনগুলি কার্যকর হলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দক্ষ, শিক্ষিত এবং সৎ ব্যক্তিদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

সিটি করপোরেশন-পৌরসভা-ইউপি নির্বাচন করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা

আপডেট সময় ০৭:৩২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, এবং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য পদে সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিজীবীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশ চূড়ান্ত করতে কমিশন মাঠপর্যায়ে মতামত গ্রহণ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছে। এখন ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে, যা ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে জমা দেওয়ার আশা করা হচ্ছে।

কমিশন সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন এবং চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে হলে স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের যোগ্যতা থাকতে হবে। এছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সরাসরি ভোটে মেয়র নির্বাচিত হতে পারবেন না, কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত হবে।

এছাড়া ইউপি সদস্যদের মধ্যে একজন সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবে এবং তাকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। নতুন সুপারিশ কার্যকর হলে, নিরক্ষর বা অল্প শিক্ষিতরা আর স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এতে প্রভাবশালী ও অদক্ষ প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার পথ বন্ধ হবে এবং শিক্ষিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ এবং কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ বলেন, “সারা দেশ থেকে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, দল, পেশিশক্তি এবং অর্থের কারণে শিক্ষিত লোকজন জনপ্রতিনিধি হতে পারতেন না। নিরক্ষর ব্যক্তিরা অনেক সময় নির্বাচনে জয়ী হতেন, কিন্তু এখন সেই সুযোগ বন্ধ হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হল, শিক্ষিত ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হোন এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারেন।”

এ পরিবর্তনগুলি কার্যকর হলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দক্ষ, শিক্ষিত এবং সৎ ব্যক্তিদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।