অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডে ৪ দিনের ব্যস্ত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা ০৭ মিনিটে দুবাই থেকে ফ্লাইটে ফেরার পথে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
তার প্রেস উইং জানিয়েছে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভা এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব ইভেন্টে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
এই ৪ দিনের সফরে অধ্যাপক ইউনূস মোট ৪৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ডব্লিউইএফ শীর্ষ সম্মেলনের সময় তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সফরের প্রথম দিন ২১ জানুয়ারি, তিনি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা, মিউনিখ সুরক্ষা সম্মেলনের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফ হিউসজেন, থাই প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমসহ বিশ্বের বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
২২ জানুয়ারি, অধ্যাপক ইউনূস ১৪টি প্রোগ্রামে যোগ দেন এবং জার্মান, বেলজিয়ান, সুইস এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিশেষত, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন।
২৩ জানুয়ারি, তিনি মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকরপোরেটেডের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ, ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম এবং আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। ২৪ জানুয়ারি, অধ্যাপক ইউনূস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন এবং সেসময় ক্লাইমেট হাবে বক্তৃতা দেন।
সফরের শেষ দিনে, অধ্যাপক ইউনূস আমেরিকান বিনিয়োগকারী রে ডালিওসহ আরো বেশ কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সফর শেষে দেশে ফিরে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, “বিশ্বের বিভিন্ন নেতা এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।”