গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গত ২২ ডিসেম্বর রাত থেকে ২৩ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে ৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৪ জন আহত হয়েছেন। এই হামলা একাধিক বিমান ও স্থল হামলার ফলস্বরূপ ঘটে।
এখন পর্যন্ত, ১৪ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের আগ্রাসনে ফিলিস্তিনে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৫ হাজার ৩১৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭ হাজার ৭১৩ জন, তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, আসল সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে, কারণ ধ্বংস হওয়া ভবনের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়েছেন এবং তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই বর্বর হামলা, যা ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে অব্যাহত রয়েছে, গাজার অবকাঠামোকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, গির্জা, শরণার্থী শিবিরসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া, প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি গাজা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, যা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইতোমধ্যে, ইসরায়েল দখলদার দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। তবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ দুর্বল ও অকার্যকর না করা পর্যন্ত এবং জিম্মিদের মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সূত্র: রয়টার্স