ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তানে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনা শুরু দুবাইয়ে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে প্রিভিউ কমিটি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন আরশ খান উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাকোপে ঘূর্ণিঝড় রিমাল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার হুমকি ট্রাম্পের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন স্ত্রী ও মেয়েসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ ময়মনসিংহের বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপারকে বরণ

স্ত্রী ও মেয়েসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এসকে সুর), তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদক জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার কারণে এসকে সুর এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে, দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর, তার স্ত্রী ও কন্যার আয়কর নথি জব্দ করেছিল। এছাড়া, গত বছরের আগস্টে এই পরিবারের সব ধরণের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়।

২০২২ সালে পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসার পর, দুদক এসকে সুরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ এসকে সুরকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আন্তর্জাতিক লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ লুটপাটের ঘটনায়। এসকে সুর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান।

অভিযোগ রয়েছে, ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন এবং সুবিধা নিয়েছেন।

এদিকে, দুদকের নতুন মামলায় এই পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত আরও গভীর হয়েছে, যা বাংলাদেশের আর্থিক খাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনা শুরু

স্ত্রী ও মেয়েসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় ১২:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এসকে সুর), তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদক জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার কারণে এসকে সুর এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে, দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর, তার স্ত্রী ও কন্যার আয়কর নথি জব্দ করেছিল। এছাড়া, গত বছরের আগস্টে এই পরিবারের সব ধরণের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়।

২০২২ সালে পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসার পর, দুদক এসকে সুরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ এসকে সুরকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আন্তর্জাতিক লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ লুটপাটের ঘটনায়। এসকে সুর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান।

অভিযোগ রয়েছে, ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন এবং সুবিধা নিয়েছেন।

এদিকে, দুদকের নতুন মামলায় এই পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত আরও গভীর হয়েছে, যা বাংলাদেশের আর্থিক খাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।