বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবার চূড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে আরেক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। সম্প্রতি ইউনিটটিতে রিয়্যাক্টর এসেম্বলির কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী ধাপে রিয়্যাক্টর প্ল্যান্টের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির পরিচালন সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য হাইড্রোলিক টেস্ট সম্পাদন করা হবে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রসাটম এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রিয়্যাক্টর এসেম্বলির কাজের মধ্যে ছিল চুল্লীর অভ্যন্তরে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ স্থাপন, জ্বালানী এসেম্বলি সিম্যুলেটর লোডিং, সুরক্ষামূলক পাইপ ইউনিট এবং আপার ইউনিট এবং স্মার্ট অটোমেটেড এন্ড মনিটরিং সিস্টেমস (SAMS) সেন্সর স্থাপন। এই কাজে অংশ নেন এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট, এটমটেখ এনার্গো এবং রসএনার্গো এটমের বিশেষজ্ঞবৃন্দ।
বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরী বলেন, “ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ ইউনিটের দক্ষ পরিচালন নিশ্চিত করতে রিয়্যাক্টর এসেম্বলির কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে পরবর্তী ধাপের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিরাপদ, নিরবিচ্ছিন্ন এবং নির্ভরযোগ্য পরিচালনা আমাদের দায়িত্বের একটি অংশ। প্রতিটি ধাপে আমরা অতি সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি বিষয় মনিটর করছি। মনিটরিং এর ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি এবং পদ্ধতির সাহায্য নেয়া হচ্ছে।’’
উল্লেখ্য, রাশিয়ার কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় পাবনার রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগাওয়াট।
প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর যা সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পুরনে সক্ষম। রসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।