হাইকোর্টের রায়ে ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের কিছু অংশ বাতিল করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হয়েছে এবং দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন পরিচালনার বিধান বাতিল হয়ে গেছে। আদালত জানিয়েছে, ভবিষ্যৎ সংসদের জন্য বাকিগুলোর বৈধতা বিবেচনা করা হবে।
আজ (১৭ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। রায়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর ২০ ও ২১ ধারাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল করা হয়। পাশাপাশি ৭ক, ৭খ, এবং ৪৪ (২) অনুচ্ছেদও বাতিল ঘোষণা করা হয়।
পঞ্চদশ সংশোধনী ২০১১ সালে জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়। এর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, যার ফলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের বিধান সংবিধানে যুক্ত হয়েছিল। তবে, এই সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
রায়ের পর রিটকারীর আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, তারা পঞ্চদশ সংশোধনী সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি করেছিলেন। তবে, আদালত কিছু ধারা বাতিল করলেও বাকিগুলো ভবিষ্যৎ সংসদের জন্য রেখে দিয়েছেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই রায় রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয়, যা ঐতিহাসিক এবং রাজনীতিবিদদের উপর নির্ভরশীল।