ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
রামগঞ্জে প্রতারণা-চাঁদাবাজি-ভূমি দস্যুতা ও শ্লীলতাহানীসহ ৮ মামলার আসামী যুবলীগ নেতা সিঙ্গার ফারুক গ্রেপ্তার বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে অধ্যাপিকা নার্গিস বেগমকে ফুলেল শুভেচ্ছা বিগত ১৭ বছর অত্যন্ত ভয়াবহ দুঃসময় পার হয়েছে: নার্গিস বেগম কমলগঞ্জে মুণ্ডা, ওঁরাও, খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর বাহা উৎসব অনুষ্ঠিত বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন বিএনপির  উদ্দ্যোগে ইফতার মাহফিল পাবনায় নসিমন-সিএনজি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিলের প্রতিবাদে পাবনায় মানববন্ধন বরিশাল বিভাগ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ড. ইউনূসকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি কূটনীতিকের স্ট্যাটাস বাংলাদেশের সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে: জাতিসংঘের মহাসচিব

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাশিয়ার দাবিনামা পেশ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে একটি চুক্তির শর্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য নিজেদের দাবিনামা পেশ করেছে রাশিয়া। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই ব্যক্তি রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো তাদের তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাশিয়া প্রস্তুত কি না, সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা তিন সপ্তাহ ধরে ব্যক্তিগতভাবে ও ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়েছেন এবং এই সময়েই রাশিয়ার শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ার নতুন দাবিগুলো মূলত তাদের আগের দাবির পুনরাবৃত্তি, যা তারা ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে উত্থাপন করেছিল।

রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া যাবে না, ইউক্রেনে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যাবে না এবং ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের চারটি দখলকৃত অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। পাশাপাশি, ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ বন্ধ করা এবং রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য আলোচনা করা জরুরি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা শত্রুতা বন্ধের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। তবে এটি এমন হতে হবে, যাতে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সংকটের মূল কারণগুলো দূর করা যায়।”

২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান চান। গত বুধবার (১৩ মার্চ) হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন যে, ক্রেমলিন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হবে। ইউক্রেন ইতোমধ্যে এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে। এখন দেখার বিষয়, রাশিয়া তাদের অবস্থান কতটা নমনীয় করে এবং এ সংঘাত সমাধানের জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নেয় কি না।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রামগঞ্জে প্রতারণা-চাঁদাবাজি-ভূমি দস্যুতা ও শ্লীলতাহানীসহ ৮ মামলার আসামী যুবলীগ নেতা সিঙ্গার ফারুক গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাশিয়ার দাবিনামা পেশ

আপডেট সময় ০৩:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে একটি চুক্তির শর্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য নিজেদের দাবিনামা পেশ করেছে রাশিয়া। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই ব্যক্তি রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো তাদের তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাশিয়া প্রস্তুত কি না, সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা তিন সপ্তাহ ধরে ব্যক্তিগতভাবে ও ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়েছেন এবং এই সময়েই রাশিয়ার শর্তগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ার নতুন দাবিগুলো মূলত তাদের আগের দাবির পুনরাবৃত্তি, যা তারা ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে উত্থাপন করেছিল।

রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া যাবে না, ইউক্রেনে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যাবে না এবং ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের চারটি দখলকৃত অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। পাশাপাশি, ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ বন্ধ করা এবং রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য আলোচনা করা জরুরি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা শত্রুতা বন্ধের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। তবে এটি এমন হতে হবে, যাতে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সংকটের মূল কারণগুলো দূর করা যায়।”

২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান চান। গত বুধবার (১৩ মার্চ) হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন যে, ক্রেমলিন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হবে। ইউক্রেন ইতোমধ্যে এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে। এখন দেখার বিষয়, রাশিয়া তাদের অবস্থান কতটা নমনীয় করে এবং এ সংঘাত সমাধানের জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নেয় কি না।