ঢাকার শাহবাগ মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন আহতরা। এ সময় তারা বাংলামোটর অভিমুখী সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেন ৪০-৫০ জন আন্দোলনকারী। তারা সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার জন্য দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করায় ওই সময়ের মধ্যে তারা সড়ক অবরোধ করেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করেন।
শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর জানান, “অবরোধকারীরা বিএসএমএমইউর সামনে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করছেন। তবে শাহবাগ মোড়ের অন্য লেনগুলো দিয়ে যান চলাচল করছে।”
আন্দোলনকারীরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো, আহতদের দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা। যারা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, তাদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা, এককালীন ভাতা ও পরিবারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। একইভাবে, যারা সেরে উঠেছেন এবং কর্মক্ষম আছেন, তাদের জন্য ১৫ হাজার টাকা মাসিক ভাতা ও এককালীন ভাতার ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে।
এছাড়াও, আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা উচিত। এই আইনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শান্তির বিধান থাকতে হবে।
তাদের দাবির মধ্যে আরো রয়েছে, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ ও সমস্যা সমাধানের জন্য একটি টোল-ফ্রি হটলাইন চালু করা।
এই আন্দোলনকারীদের দাবি, গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সরকারের উচিত তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করা, যাতে আহতরা শিগগিরই পুনর্বাসিত হতে পারে এবং তাদের ক্ষতিপূরণ যথাযথভাবে প্রদান করা হয়।