টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ১৩ বছরের জহুরা যেন ১৩ মাসের শিশু। ১৩ বছর বয়সেও জহুরার উচ্চতা মাত্র ২৯ ইঞ্চি।
প্রতিবন্ধী জহুরা ও তার অসুস্থ মাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জহুরার নানা-নানি ও মামা। উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বালিয়াজান গ্রামে নানার বাড়িতে জহুরা ও তার মা থাকেন। জহুরার বাবার বাড়ি উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামে।
জানা গেছে, প্রায় পনের বছর আগে লতিফপুর গ্রামের জাকির হোসেনের সঙ্গে শাহানাজ বেগমের বিয়ে হয়। জহুরার জন্মের তিন মাসের মাথায় জহুরার বাবা জাকির হোসেন জহুরার মা শাহানাজ বেগমকে তালাক দেন। এরপর থেকে জহুরাকে নিয়ে তার মা শাহানাজ বেগম বাবার বাড়ি বালিয়াজান গ্রামে থাকেন। জহুরার মায়ের রয়েছে মৃগী রোগ। মাঝে মধ্যে মৃগী রোগের উপসর্গ দেখা দিলে তার জীবনও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে অসুস্থ মেয়ে শাহানাজ ও নাতনী জহুরাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নানা সাহাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, জহুরার সমবয়সী মেয়েরা এখন মাধ্যমিক স্কুলে পড়ে। আর জহুরা এখনও শিশু।
সাহাজ উদ্দিন বলেন, তার সামর্থ্যের মধ্যে তিনি মেয়ে ও নাতনীকে চিকিৎসা ও ভরণপোষণ করেছেন। কিন্ত এখন তারও বয়স হয়েছে। তিনি আর তাদের ভরণপোষণ করতে পারছেন না।
তিনি দেশবাসী ও সরকারের কাছে তার মেয়ে ও প্রতিবন্ধী নাতনী জহুরার চিকিৎসায় সহযোগিতা চেয়েছেন। নানী রহিমা বেগমও কান্নাজড়িত কণ্ঠে একই দাবি জানিয়েছেন।