পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা ইউনিয়নের গদাইগরুপসী গ্রামের জামে মসজিদ এর ৪৩ বিঘা পুকুর ওয়াকফ এস্টেট অন্তর্ভুক্ত হলেও মোতওয়াল্লীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে মসজিদ কমিটির নামে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যুগ যুগ ধরে এসব পুকুর নিজেদের দখলে রেখেছেন।
জানা গেছে, মসজিদটির নামে প্রায় ১৪.৫২ একর আয়তনের চারটি বড় পুকুর রয়েছে। সেখানে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর মাছ উৎপাদন হয়। এখান থেকে প্রতি বছর ৭/৮ লাখ টাকা আয় হয়। গত ২০০৭ সালে এই মসজিদের সকল সম্পত্তি ওয়াকফ এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং পরবর্তীতে নিয়ম মোতাবেক ঐ গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেনকে মোতওয়াল্লী নিযুক্ত করা হয়, কিন্তু আজও তিনি মসজিদের সম্পত্তি দেখভালের জন্য সক্রিয় হতে পারেননি।
গদাইরূপসী গ্রামের হাজী নুরুল ইসলাম ও জালাল উদ্দিন বলেন, ১৭ বছর আগে এই মসজিদের সকল সম্পত্তি ওয়াকফ এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০২২ সালে একজন মোতওয়াল্লী নিযুক্ত করা হয়। তারপরও পূর্বের কমিটি অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রেখে মসজিদের সম্পদ আত্মসাৎ করছেন।
মোতওয়াল্লী মোতালেব হোসেন বলেন, পূর্ব কমিটির কথিত সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ গংয়েরা প্রতি তিন বছর অন্তর মসজিদের পুকুরগুলো লিজ বাবদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নিজেরা হাতিয়ে নেন। মোতওয়াল্লী নিযুক্ত হওয়ার পর তিন বছর চলে গেলেও তিনি দায়িত্ব বুঝে পাননি। উপরন্ত তারা মামলা-হামলার হুমকি দিচ্ছেন। তবে প্রশাসন পাশে থাকলে তিনি সক্রিয় ভুমিকা রাখতে পারবেন বলে জানান।
অপরদিকে মসজিদ কমিটির কথিত সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ বাবু বলেন, রেকর্ড অনুযায়ী সম্পত্তির মালিক গদাই রূপসী জামে মসজিদ। তাই গ্রামবাসী দ্বারাই মসজিদ পরিচালিত হবে। তারা ওয়াকফ এস্টেটের মোতওয়াল্লীর কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে রাজি নন বলে সাফ জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঐ মসজিদ পরিচালনায় মোতওয়াল্লীসহ সদস্যরা সক্রিয় হলে তিনি প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।