ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পদত্যাগ করলেন মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব খুরশেদ আলম সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান আটক অবশেষে দুর্নীতিপরায়ন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান ওএসডি প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্ধ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ কমলগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন ক্ষেতলালে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত মনিটরিং টিম গঠন করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান ঢাবিতে বিশেষ ক্লাস নিলেন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বাংলাদেশি উপাচার্য যশোরে পশুর হাটে চলছে লুটপাট, ইউএনও-র নামে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্রুত গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচন দিন: রিজভী
সংবাদ শিরোনামঃ
অবশেষে দুর্নীতিপরায়ন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান ওএসডি যশোরে পশুর হাটে চলছে লুটপাট, ইউএনও-র নামে মিথ্যা বিজ্ঞাপন তাকসিম সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে শ্রীমঙ্গলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাবনায় সাবেক ২ মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার মেয়র আতিকের এপিএস ফরিদের দুর্নীতির শত শত কোটি টাকা তার মালিকানা নগদ ডিস্ট্রিবিউশন এফ আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে কারাগার থেকে পালানো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

১০৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ বিদেশি ঋণে রেকর্ড ভেঙেছে। গত ডিসেম্বরে ১০০ বিলয়ন ডলার ছুঁয়েছিল বিদেশি ঋণ। মাঝে কিছুটা কমলেও আবারো তা বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১০৩ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে রেকর্ড পরিমাণ বিদেশি ঋণে পড়েছে দেশ। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৩৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত মার্চ প্রান্তিক শেষে এর পরিমাণ ছিল ৯৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার।

সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। তবে গত বছরের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। তার আগে গত বছরের জুন প্রান্তিক প্রান্তিক শেষে এর পরিমাণ ছিল ৯৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেড়েছে। আমরা মূলত স্বল্পমেয়াদি বেসরকারি ঋণগুলো তদারকি করি। বেসরকারি ঋণগুলো ব্যাংকগুলোই পরিশোধ করে। সাধারণত মাসে ১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তেমন দুশ্চিন্তা থাকে না।

অন্যদিকে চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৭ কোটি ডলার। যা চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিক শেষে ছিল ২০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বেসরকারি খাতে কিছুটা বেড়েছে। আর গত ডিসেম্বর মাস শেষে ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার এবং গত বছরের জুনে যা ছিল ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

তথ্য বলছে, জুন শেষে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১৪০ কোটি ডলারে। যা গত মার্চ শেষে ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০৪ কোটি ডলার।

এসব ঋণের মধ্যে বাণিজ্যিক ঋণের পরিমাণ ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বা ৭৬২ কোটি ডলার। মার্চ শেষে এর পরিমাণ ছিল ৭৪৬ কোটি ডলার। বাণিজ্যিক ঋণের বেশিরভাগ বায়ার্স ক্রেডিট, যার পরিমাণ প্রায় ৫৭৬ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া বিদেশি ব্যাক টু ব্যাক এলসির ঋণ ১০৯ কোটি ডলার এবং ডেফার্ড পেমেন্টের ঋণের পরিমাণ ৭৬ কোটি ডলার। যদিও জুন শেষে বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কমে ৯ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ৯১৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা তার আগের প্রান্তিক মার্চ শেষে ছিল ৯ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পদত্যাগ করলেন মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব খুরশেদ আলম

১০৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার

আপডেট সময় ১২:৩৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ বিদেশি ঋণে রেকর্ড ভেঙেছে। গত ডিসেম্বরে ১০০ বিলয়ন ডলার ছুঁয়েছিল বিদেশি ঋণ। মাঝে কিছুটা কমলেও আবারো তা বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১০৩ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে রেকর্ড পরিমাণ বিদেশি ঋণে পড়েছে দেশ। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৩৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত মার্চ প্রান্তিক শেষে এর পরিমাণ ছিল ৯৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার।

সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। তবে গত বছরের ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। তার আগে গত বছরের জুন প্রান্তিক প্রান্তিক শেষে এর পরিমাণ ছিল ৯৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেড়েছে। আমরা মূলত স্বল্পমেয়াদি বেসরকারি ঋণগুলো তদারকি করি। বেসরকারি ঋণগুলো ব্যাংকগুলোই পরিশোধ করে। সাধারণত মাসে ১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তেমন দুশ্চিন্তা থাকে না।

অন্যদিকে চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৭ কোটি ডলার। যা চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিক শেষে ছিল ২০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বেসরকারি খাতে কিছুটা বেড়েছে। আর গত ডিসেম্বর মাস শেষে ছিল ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার এবং গত বছরের জুনে যা ছিল ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

তথ্য বলছে, জুন শেষে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১৪০ কোটি ডলারে। যা গত মার্চ শেষে ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০৪ কোটি ডলার।

এসব ঋণের মধ্যে বাণিজ্যিক ঋণের পরিমাণ ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বা ৭৬২ কোটি ডলার। মার্চ শেষে এর পরিমাণ ছিল ৭৪৬ কোটি ডলার। বাণিজ্যিক ঋণের বেশিরভাগ বায়ার্স ক্রেডিট, যার পরিমাণ প্রায় ৫৭৬ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া বিদেশি ব্যাক টু ব্যাক এলসির ঋণ ১০৯ কোটি ডলার এবং ডেফার্ড পেমেন্টের ঋণের পরিমাণ ৭৬ কোটি ডলার। যদিও জুন শেষে বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কমে ৯ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ৯১৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা তার আগের প্রান্তিক মার্চ শেষে ছিল ৯ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।