জুলাই-আগস্টে দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আদালত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কে নির্দেশ দিয়েছে, শেখ হাসিনার অতীতের সব বিদ্বেষমূলক বক্তব্যও সব মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে।
আজ বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
গত ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ সালে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া, এই মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের এই নির্দেশনা প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানি করেন। ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে।
এদিকে, আদালতের এই আদেশটি দেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার বক্তব্যের ওপর ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা এবং বিটিআরসির নির্দেশনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।