ঢাকা ০১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরে আগুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার খালাতো ভাই তুহিনের জামিন মঞ্জুর বগুড়ায় ঋণের চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যা স্ত্রীকে মারপিট নিষেধ করায় বড় ভাইকে হাতুড়িপেটায় হত্যা; ছোট ভাই আটক মির্জাপুর উপজেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ ও ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কাজ দমনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে; বললেন নতুন ওসি রাশেদুল ইসলাম বাবুগঞ্জে অস্থায়ী নদীর বাঁধ নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের প্রতিবাদে নদীরপাড়ে ১ কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন ভালুকায় ছুরিকাঘাতে একজন খুন বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে হিরো আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা মাত্র ২০০ টাকার জন্য বাজিতপুরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: এলাকাজুড়ে শোক ও উত্তেজনা শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ব্যবহার নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করল ছাত্র ময়মনসিংহে র‍্যাবের হাতে ভুয়া মেজর ও গণধর্ষণের মামলায় আটক ৬ পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান: সাত মাস্টার এজেন্ট আটক

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পরিবারকে খুঁজেন আতিক

আদালত প্রাঙ্গণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের খুঁজতে থাকেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে তিনি আইনজীবীর কাছে পরিবারের খোঁজ নেন। আইনজীবী ইশারায় জানান, তার পরিবার ভালো আছে। এরপর আতিকুল ইসলাম আরও কিছু বলার চেষ্টা করলেও কোর্টরুমের ভিড় ও শব্দের কারণে তা সম্ভব হয়নি।

সকাল ১০টা ৫ মিনিটে নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরিয়ে আমির হোসেন আমু, আতিকুল ইসলাম, সাদেক খান, পুলিশ কর্মকর্তা শাহেন শাহসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফিট রোডে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে কিশোর মো. সোহাগ মিয়া (১৬) নিহত হয়। আন্দোলন চলাকালে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলি তার বাঁ কান দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় ২০ আগস্ট ৯১ জনকে আসামি করে ভাটারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার শুরু হয়। সরকার পতনের পর থেকে আতিকুল ইসলাম আত্মগোপনে ছিলেন। পরে ১৬ অক্টোবর ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরে আগুন

Verified by MonsterInsights

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পরিবারকে খুঁজেন আতিক

আপডেট সময় ০২:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের খুঁজতে থাকেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে তিনি আইনজীবীর কাছে পরিবারের খোঁজ নেন। আইনজীবী ইশারায় জানান, তার পরিবার ভালো আছে। এরপর আতিকুল ইসলাম আরও কিছু বলার চেষ্টা করলেও কোর্টরুমের ভিড় ও শব্দের কারণে তা সম্ভব হয়নি।

সকাল ১০টা ৫ মিনিটে নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরিয়ে আমির হোসেন আমু, আতিকুল ইসলাম, সাদেক খান, পুলিশ কর্মকর্তা শাহেন শাহসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফিট রোডে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে কিশোর মো. সোহাগ মিয়া (১৬) নিহত হয়। আন্দোলন চলাকালে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলি তার বাঁ কান দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় ২০ আগস্ট ৯১ জনকে আসামি করে ভাটারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার শুরু হয়। সরকার পতনের পর থেকে আতিকুল ইসলাম আত্মগোপনে ছিলেন। পরে ১৬ অক্টোবর ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।