ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের খুঁজতে থাকেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে তিনি আইনজীবীর কাছে পরিবারের খোঁজ নেন। আইনজীবী ইশারায় জানান, তার পরিবার ভালো আছে। এরপর আতিকুল ইসলাম আরও কিছু বলার চেষ্টা করলেও কোর্টরুমের ভিড় ও শব্দের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
সকাল ১০টা ৫ মিনিটে নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরিয়ে আমির হোসেন আমু, আতিকুল ইসলাম, সাদেক খান, পুলিশ কর্মকর্তা শাহেন শাহসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার একটি হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফিট রোডে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে কিশোর মো. সোহাগ মিয়া (১৬) নিহত হয়। আন্দোলন চলাকালে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলি তার বাঁ কান দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় ২০ আগস্ট ৯১ জনকে আসামি করে ভাটারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার শুরু হয়। সরকার পতনের পর থেকে আতিকুল ইসলাম আত্মগোপনে ছিলেন। পরে ১৬ অক্টোবর ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।