সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালত এই রায়ে জানিয়েছে, কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া যাবে না এবং এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় মেধা ভিত্তিক করা হবে।
এর আগে, ২০১৯ সালের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২২ এপ্রিল ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত ফলাফলে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট কর্তৃক ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র স্থগিত করে কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কোটা পদ্ধতির ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ স্থগিত করে এবং মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।