ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে জুলকারনাইনের পরামর্শ ‘ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ’ বলেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ দুই মাস ছাত্র-জনতা রাজপথে থাকবে: নাহিদ ইসলাম সারজিস আলম আহত ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার হামলা, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর শেষ বলে ম্যাচ জিতে ফাইনালে চিটাগং জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বোয়ালখালী উপজেলার বালিকা দলকে (ইউএনও) হিমাদ্রি খীসার অভিনন্দন মুরাদনগরে সম্পত্তি বিরোধে আপন ভাতিজিকে টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে নুরের বার্তা পাংশায় ৫৩ তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে জামায়াতের উদ্যোগে ‘বিপ্লবের শহীদ’ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন কালুরঘাট সেতুতে টোল আদায় শুরু

ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবের ত্রি-বার্ষিক কার্যনিবার্হী কমিটি গঠিত

১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন “ক্ষেতলাল প্রেসক্লাব” এর ত্রি-বার্ষিক কার্যনিবার্হী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

০৫ জানুয়ারি (বুধবার) বিকালে ঐতিহ্যবাহী এই প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। সকলের মতামতের ভিত্তিতে কমিটির মেয়াদকাল তিন বছর করা হয়।

“ক্ষেতলাল প্রেসক্লাব” এর ত্রি-বার্ষিক কার্যনিবার্হী কমিটি:

প্রধান উপদেষ্টা পরিষদ: মো. আলী হাসান মুক্তা (অধ্যক্ষ ক্ষেতলাল বি.এম কলেজ), মো. আব্দুল আলিম (প্রভাষক, শিরট্টী মহাবিদ্যালয়), এসএম শওকত (বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী ও সিএ-উপজেলা পরিষদ),

আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব চপল (এ্যাডিশনাল পিপি, জয়পুরহাট জর্জ কোর্ট)।

কার্যনিবার্হী কমিটি: সভাপতি- পীরজাদা আ ন ম রুহুল আমিন চিশতী (দৈনিক দিনকাল); সহ-সভাপতি- মিজানুর রহমান (প্রতিদিনের বাংলাদেশ ) ও মো. শামীম হোসেন (দৈনিক সংগ্রাম); সাধারণ সম্পাদক: মো. হাসান আলী (দৈনিক যুগান্তর), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক: মো. তৈয়বর রহমান (দৈনিক আলোকিত সকাল); কোষাধ্যক্ষ: মো. একরামুল ইসলাম উজ্জ্বল মাস্টার, (দৈনিক ভোরের ডাক)’ সাংগঠনিক সম্পাদক: আ. রাজ্জাক (দৈনিক পাঞ্জেরী); দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক: মামুনুর রশীদ পান্না (দৈনিক বাংলাদেশ সময়); আইন বিষয়ক সম্পাদক: এ্যাডভোকেট এস এম মোর্শেদ; সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক: আব্দুল হাই মিলন (দৈনিক আজকের সংবাদ); ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক: মো. শাহিনুর ইসলাম (শাহিন) (দৈনিক খোলা কাগজ); আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক: আবু হাসান (দৈনিক মানবজমিন)।

নির্বাহী সদস্য: মাহমুদুল হাসান চৌধুরী রকেট (দৈনিক মহাস্থান); মো. চপল সরদার (দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার); মো. আমানুল্লাহ আমান (দৈনিক কালবেলা);

সাধারণ সদস্য: মো. মোজাম্মেল  হক রতন, মাস্টার (দৈনিক দেশ বুলেটিন); মো. আবু হানিফ (দৈনিক বাংলার সময়)।

কমিটি ঘোষণার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেতলাল  প্রেস ক্লাবকে কুক্ষিগত করে রেখেছে কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট। যেখানে এক যুগেরও বেশি সাংবাদিকতা করা সত্ত্বেও, সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিজেরা ফায়দা লুটত, তরুণ ও মেধাবী গণমাধ্যম কর্মীদের কোনো রকম সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর বিপরীতে সরকারি বেতনভুক্ত শিক্ষকসহ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেতলালে  অবস্থান করেন৷  এমন অপেশাদার ও রাজনৈতিক পদ-পদবিধারীদের দিয়ে প্রেস ক্লাব দখল করে রেখেছিল চক্রটি।

সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী বলেন, আমি সংগঠনের সকলের নিকট কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, ডিজিটাল আইন সংশোধনের বিকল্প নাই। আমরা বরাবরের মতোই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবী জানাচ্ছি। শীঘ্রই সাংবাদিকদের মানোন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করবো।

তিনি সাংবাদিকদের মধ্য চলমান বিভেদ হিংসা মতানৈক্য পরিহার করার আহবান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি সাংবাদিকদের কিছুই করতে পারবে না। তিনি সকল সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার অনুরোধ করেন৷

বক্তব্যে  সাংগঠনিক সম্পাদক আ. রাজ্জাক বলেন, চাটুকারদের প্রাচীর ভেঙে কমিটির মাধ্যমে ক্ষেতলালে  সুন্দর ধারার এবং বৈষম্যহীন সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। জেলা ও উপজেলার সব পেশাজীবী গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এই দুর্বৃত্তায়ন দূর করা হবে। আজ থেকে ক্ষেতলালে সাংবাদিকতা হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন।

তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় অন্য কোনো সংগঠনের পরিচয় দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে৷

ওই সভায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়। এর মধ্য রয়েছে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, বার্ষিক বনভোজন, সাংবাদিক প্রশিক্ষণ, পত্রিকার বিজ্ঞাপন, সাংবাদিকদের মানোন্নয়সহ বহু কর্মপন্থা। এছাড়াও সভার শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র-জনতা, পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়৷ এছাড়া সভায় প্রেসক্লাবের কার্যক্রম এবং উন্নয়ন গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবের ত্রি-বার্ষিক কার্যনিবার্হী কমিটি গঠিত

আপডেট সময় ০৬:৫৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন “ক্ষেতলাল প্রেসক্লাব” এর ত্রি-বার্ষিক কার্যনিবার্হী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

০৫ জানুয়ারি (বুধবার) বিকালে ঐতিহ্যবাহী এই প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। সকলের মতামতের ভিত্তিতে কমিটির মেয়াদকাল তিন বছর করা হয়।

“ক্ষেতলাল প্রেসক্লাব” এর ত্রি-বার্ষিক কার্যনিবার্হী কমিটি:

প্রধান উপদেষ্টা পরিষদ: মো. আলী হাসান মুক্তা (অধ্যক্ষ ক্ষেতলাল বি.এম কলেজ), মো. আব্দুল আলিম (প্রভাষক, শিরট্টী মহাবিদ্যালয়), এসএম শওকত (বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী ও সিএ-উপজেলা পরিষদ),

আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব চপল (এ্যাডিশনাল পিপি, জয়পুরহাট জর্জ কোর্ট)।

কার্যনিবার্হী কমিটি: সভাপতি- পীরজাদা আ ন ম রুহুল আমিন চিশতী (দৈনিক দিনকাল); সহ-সভাপতি- মিজানুর রহমান (প্রতিদিনের বাংলাদেশ ) ও মো. শামীম হোসেন (দৈনিক সংগ্রাম); সাধারণ সম্পাদক: মো. হাসান আলী (দৈনিক যুগান্তর), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক: মো. তৈয়বর রহমান (দৈনিক আলোকিত সকাল); কোষাধ্যক্ষ: মো. একরামুল ইসলাম উজ্জ্বল মাস্টার, (দৈনিক ভোরের ডাক)’ সাংগঠনিক সম্পাদক: আ. রাজ্জাক (দৈনিক পাঞ্জেরী); দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক: মামুনুর রশীদ পান্না (দৈনিক বাংলাদেশ সময়); আইন বিষয়ক সম্পাদক: এ্যাডভোকেট এস এম মোর্শেদ; সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক: আব্দুল হাই মিলন (দৈনিক আজকের সংবাদ); ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক: মো. শাহিনুর ইসলাম (শাহিন) (দৈনিক খোলা কাগজ); আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক: আবু হাসান (দৈনিক মানবজমিন)।

নির্বাহী সদস্য: মাহমুদুল হাসান চৌধুরী রকেট (দৈনিক মহাস্থান); মো. চপল সরদার (দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার); মো. আমানুল্লাহ আমান (দৈনিক কালবেলা);

সাধারণ সদস্য: মো. মোজাম্মেল  হক রতন, মাস্টার (দৈনিক দেশ বুলেটিন); মো. আবু হানিফ (দৈনিক বাংলার সময়)।

কমিটি ঘোষণার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেতলাল  প্রেস ক্লাবকে কুক্ষিগত করে রেখেছে কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট। যেখানে এক যুগেরও বেশি সাংবাদিকতা করা সত্ত্বেও, সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিজেরা ফায়দা লুটত, তরুণ ও মেধাবী গণমাধ্যম কর্মীদের কোনো রকম সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর বিপরীতে সরকারি বেতনভুক্ত শিক্ষকসহ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেতলালে  অবস্থান করেন৷  এমন অপেশাদার ও রাজনৈতিক পদ-পদবিধারীদের দিয়ে প্রেস ক্লাব দখল করে রেখেছিল চক্রটি।

সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী বলেন, আমি সংগঠনের সকলের নিকট কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, ডিজিটাল আইন সংশোধনের বিকল্প নাই। আমরা বরাবরের মতোই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবী জানাচ্ছি। শীঘ্রই সাংবাদিকদের মানোন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করবো।

তিনি সাংবাদিকদের মধ্য চলমান বিভেদ হিংসা মতানৈক্য পরিহার করার আহবান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তি সাংবাদিকদের কিছুই করতে পারবে না। তিনি সকল সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার অনুরোধ করেন৷

বক্তব্যে  সাংগঠনিক সম্পাদক আ. রাজ্জাক বলেন, চাটুকারদের প্রাচীর ভেঙে কমিটির মাধ্যমে ক্ষেতলালে  সুন্দর ধারার এবং বৈষম্যহীন সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। জেলা ও উপজেলার সব পেশাজীবী গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এই দুর্বৃত্তায়ন দূর করা হবে। আজ থেকে ক্ষেতলালে সাংবাদিকতা হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন।

তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় অন্য কোনো সংগঠনের পরিচয় দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে৷

ওই সভায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়। এর মধ্য রয়েছে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, বার্ষিক বনভোজন, সাংবাদিক প্রশিক্ষণ, পত্রিকার বিজ্ঞাপন, সাংবাদিকদের মানোন্নয়সহ বহু কর্মপন্থা। এছাড়াও সভার শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র-জনতা, পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়৷ এছাড়া সভায় প্রেসক্লাবের কার্যক্রম এবং উন্নয়ন গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷