দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর দেশটির আকাশপথে ভ্রমণের ওপর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত রোববার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার দক্ষিণ কোরিয়ান বিমান ভ্রমণের টিকিট বাতিল করেছেন।
বিমানটি ১৮১ আরোহী নিয়ে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার পর কেবল দুজন যাত্রী বেঁচে আছেন। বিমানটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, বিমান দুর্ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের তথ্য অনুযায়ী, জেজু এয়ার জানিয়েছে, প্রায় ৬৮ হাজার ফ্লাইট রিজার্ভেশন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৩৩ হাজারেরও বেশি টিকিট বাতিল করা হয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক রুটের প্রায় ৩৪ হাজার টিকিট বাতিল হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে কংক্রিটের ঢিবির উপস্থিতির বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, যা বিমানটির নিরাপত্তা এবং দুর্ঘটনার তীব্রতা প্রভাবিত করতে পারে। তারা প্রশ্ন করেছেন, এই ঢিবিটি না থাকলে কি এত বেশি মানুষের প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব হতো।
এটি দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, ২০০২ সালে এয়ার চায়নার একটি প্লেন দুর্ঘটনায় ১২৯ জন নিহত হয়েছিল।