ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
শাকিব খানের বিপরিতে কলকাতার ছোট পর্দার রিয়া গাঙ্গুলি অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থ তদন্তকারীরা কমলগঞ্জে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার, যুবকের ৪দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের পাথরের আঘাতে প্রাণ গেল মায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমেদ আর নেই কবরস্থানে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার শীতার্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে ৬ লাখ ৭৯ হাজার কম্বল বরাদ্দ ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী: ঢাবি উপাচার্য ৭ বিয়ে নিয়ে যা বললেন সোহেল তাজ সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে হত্যাচেষ্টা ব্যক্তি নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিৎ: ড. ইউনূস মুন্নী সাহার ১৩৪ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেন

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমানে ওঠা নিয়ে আতঙ্ক, বহু ফ্লাইটের টিকিট বাতিল

দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর দেশটির আকাশপথে ভ্রমণের ওপর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত রোববার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার দক্ষিণ কোরিয়ান বিমান ভ্রমণের টিকিট বাতিল করেছেন।

বিমানটি ১৮১ আরোহী নিয়ে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার পর কেবল দুজন যাত্রী বেঁচে আছেন। বিমানটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, বিমান দুর্ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের তথ্য অনুযায়ী, জেজু এয়ার জানিয়েছে, প্রায় ৬৮ হাজার ফ্লাইট রিজার্ভেশন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৩৩ হাজারেরও বেশি টিকিট বাতিল করা হয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক রুটের প্রায় ৩৪ হাজার টিকিট বাতিল হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে কংক্রিটের ঢিবির উপস্থিতির বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, যা বিমানটির নিরাপত্তা এবং দুর্ঘটনার তীব্রতা প্রভাবিত করতে পারে। তারা প্রশ্ন করেছেন, এই ঢিবিটি না থাকলে কি এত বেশি মানুষের প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব হতো।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, ২০০২ সালে এয়ার চায়নার একটি প্লেন দুর্ঘটনায় ১২৯ জন নিহত হয়েছিল।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শাকিব খানের বিপরিতে কলকাতার ছোট পর্দার রিয়া গাঙ্গুলি

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমানে ওঠা নিয়ে আতঙ্ক, বহু ফ্লাইটের টিকিট বাতিল

আপডেট সময় ০৫:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর দেশটির আকাশপথে ভ্রমণের ওপর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত রোববার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার দক্ষিণ কোরিয়ান বিমান ভ্রমণের টিকিট বাতিল করেছেন।

বিমানটি ১৮১ আরোহী নিয়ে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার পর কেবল দুজন যাত্রী বেঁচে আছেন। বিমানটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, বিমান দুর্ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের তথ্য অনুযায়ী, জেজু এয়ার জানিয়েছে, প্রায় ৬৮ হাজার ফ্লাইট রিজার্ভেশন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৩৩ হাজারেরও বেশি টিকিট বাতিল করা হয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক রুটের প্রায় ৩৪ হাজার টিকিট বাতিল হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে কংক্রিটের ঢিবির উপস্থিতির বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, যা বিমানটির নিরাপত্তা এবং দুর্ঘটনার তীব্রতা প্রভাবিত করতে পারে। তারা প্রশ্ন করেছেন, এই ঢিবিটি না থাকলে কি এত বেশি মানুষের প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব হতো।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, ২০০২ সালে এয়ার চায়নার একটি প্লেন দুর্ঘটনায় ১২৯ জন নিহত হয়েছিল।