ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ফিলিস্তিনে আলজাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধ লালমনিরহাট সীমান্তে বিজিবির বাধায় বিএসএফের অবৈধ কাজ বন্ধ ভ্যাট বাড়ালেও নিত্যপণ্যের দামে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা নতুন বছরে নতুন বই না পেয়ে হতাশ ময়মনসিংহের লাখ লাখ শিক্ষার্থী শ্রীমঙ্গলে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা বিপিএলের টিকিট না পেয়ে তুলকালাম রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে আজ বই বিতরণ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা ডলারের দাম নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা বাণিজ্য মেলায় যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার শিমুর সঙ্গে বাগদান সারলেন সোহেল তাজ

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬-এ ১৮১ যাত্রীর ১৭৯ জনই নিহত

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। বেঁচে যাওয়া দুই ক্রুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ফ্লাইটটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে মুয়ান বিমানবন্দরে আসার পথে। উড়োজাহাজে ১৭৫ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক এবং ২ জন থাই নাগরিক। এছাড়া, উড়োজাহাজের ছয়জন ক্রুর মধ্যে চারজন নিহত হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, এটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ অথবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে ঘটতে পারে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং দেয়ালে ধাক্কা খাওয়ার আগেই এক অংশে আগুন ধরে যায়।

এরপর, কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাস্থল থেকে দু’টি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে—ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। ইয়োনহাপ বার্তাসংস্থা জানায়, একটি ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্যটি নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভয়েস রেকর্ডার অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে তথ্য উদ্ধার করতে তদন্তকারীদের এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এদিকে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনায় জেজু এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কিম ই-বে এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সিউলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬-এ ১৮১ যাত্রীর ১৭৯ জনই নিহত

আপডেট সময় ১২:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৯ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। বেঁচে যাওয়া দুই ক্রুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ফ্লাইটটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে মুয়ান বিমানবন্দরে আসার পথে। উড়োজাহাজে ১৭৫ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক এবং ২ জন থাই নাগরিক। এছাড়া, উড়োজাহাজের ছয়জন ক্রুর মধ্যে চারজন নিহত হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, এটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ অথবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে ঘটতে পারে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং দেয়ালে ধাক্কা খাওয়ার আগেই এক অংশে আগুন ধরে যায়।

এরপর, কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাস্থল থেকে দু’টি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে—ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। ইয়োনহাপ বার্তাসংস্থা জানায়, একটি ব্ল্যাক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্যটি নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভয়েস রেকর্ডার অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে তথ্য উদ্ধার করতে তদন্তকারীদের এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এদিকে, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনায় জেজু এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কিম ই-বে এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সিউলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”