বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম রাতুল মারা গেছে।
সোমবার ( ২২ সেপ্টেম্বর ) ভোরে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়৷
নিহত রাতুল বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান।
তিনি জানান, পাঁচ আগস্ট সকাল থেকেই বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় ছাত্রজনতার বিক্ষোভে অংশ নেয় রাতুল। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ছাত্রজনতার মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে এগোচ্ছিল, সে সময় পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় রাতুল।
রাতুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে। প্রায় একমাস ২০ দিন চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার ভোরে হাসপাতালে মারা যায় রাতুল।
তিনি আরও জানান, ১২ টার পর দিকে হাসপাতাল থেকে রাতুলের মরদেহ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। সেখানে জানাজা শেষে রাতুলের মরদেহ নেয়া হবে বগুড়া শহরের হাকির মোড় এলাকায় রাতুলদের বাসায়। পরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
রাতুলের বাবা আরও বলেন, “ছেলেকে দাফনের পর স্বজনদের সঙ্গে বসে মামলার বিষয়ে চিন্তা করবো। রাতুলের চিকিৎসা খরচ নিজেও দিয়েছি, স্বজন, বন্ধুরা এবং সরকারও দিয়েছে।”