ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরে আগুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার খালাতো ভাই তুহিনের জামিন মঞ্জুর বগুড়ায় ঋণের চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যা স্ত্রীকে মারপিট নিষেধ করায় বড় ভাইকে হাতুড়িপেটায় হত্যা; ছোট ভাই আটক মির্জাপুর উপজেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ ও ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কাজ দমনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে; বললেন নতুন ওসি রাশেদুল ইসলাম বাবুগঞ্জে অস্থায়ী নদীর বাঁধ নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের প্রতিবাদে নদীরপাড়ে ১ কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন ভালুকায় ছুরিকাঘাতে একজন খুন বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে হিরো আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা মাত্র ২০০ টাকার জন্য বাজিতপুরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: এলাকাজুড়ে শোক ও উত্তেজনা শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ব্যবহার নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করল ছাত্র ময়মনসিংহে র‍্যাবের হাতে ভুয়া মেজর ও গণধর্ষণের মামলায় আটক ৬ পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান: সাত মাস্টার এজেন্ট আটক

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপ জরুরি: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে এবং তাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপে বসা অত্যন্ত জরুরি।

শনিবার (১৫ মার্চ) জাতিসংঘ মহাসচিব ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ করা এবং সেখানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রতিবেশী দেশগুলোর চাপ প্রয়োজন। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি আরও বলেন, “সহিংসতা বন্ধ করার পাশাপাশি এমন কার্যকর ব্যবস্থা গঠন করতে হবে, যা মিয়ানমারে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাধানের পথ সুগম করবে। এ ধরনের ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবেই রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে প্রত্যাবর্তনকে সহজ করবে।”

গুতেরেস উল্লেখ করেন, “আমাদের মিয়ানমারের ভেতরে মানবিক সহায়তা জোরদার করতে হবে, যাতে সেখানে প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়।” বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের জন্য একটি মানবিক সহায়তা চ্যানেল তৈরির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কিন্তু এটি স্পষ্টতই অনুমোদন ও সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।”

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গেও এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই, রোহিঙ্গারা মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের স্বদেশে ফিরে যাক। জাতিসংঘ আমাদের এই প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে আগ্রহী।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে তারা সঠিক অবস্থানে ফিরে আসে এবং রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করে।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরে আগুন

Verified by MonsterInsights

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপ জরুরি: জাতিসংঘ মহাসচিব

আপডেট সময় ০৪:১৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে এবং তাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপে বসা অত্যন্ত জরুরি।

শনিবার (১৫ মার্চ) জাতিসংঘ মহাসচিব ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ করা এবং সেখানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রতিবেশী দেশগুলোর চাপ প্রয়োজন। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি আরও বলেন, “সহিংসতা বন্ধ করার পাশাপাশি এমন কার্যকর ব্যবস্থা গঠন করতে হবে, যা মিয়ানমারে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাধানের পথ সুগম করবে। এ ধরনের ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবেই রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে প্রত্যাবর্তনকে সহজ করবে।”

গুতেরেস উল্লেখ করেন, “আমাদের মিয়ানমারের ভেতরে মানবিক সহায়তা জোরদার করতে হবে, যাতে সেখানে প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়।” বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের জন্য একটি মানবিক সহায়তা চ্যানেল তৈরির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কিন্তু এটি স্পষ্টতই অনুমোদন ও সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।”

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গেও এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই, রোহিঙ্গারা মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের স্বদেশে ফিরে যাক। জাতিসংঘ আমাদের এই প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে আগ্রহী।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে তারা সঠিক অবস্থানে ফিরে আসে এবং রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করে।”