ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন বগুড়ায় দিনের বেলা চাকু দিয়ে কুপিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই সংবাদ প্রচারের পর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের চুরি হওয়া মূল্যবান সেগুন গাছের ১৬ টি খন্ডাংশ উদ্ধার ঢাকা ওয়াসায় আওয়ামী অপশাসন রোধ ও সুশাসন নিশ্চিত কল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি যার সুফল নগরবাসী ইতিমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসা আগামীর বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: ডা. শফিকুর রহমান যশোরে আলাদা দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ আহত ১৫ নাগরপুরে ভবন নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব ইসমাইল হোসেন গ্রেফতার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য শেহজাদের অদ্ভুত প্রস্তাব নতুন ভাইরাস ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’র লক্ষণ ও প্রতিকার বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে ফের বসবে সমমনা দলগুলো কাজের প্রতি সৎ থাকার দাবী করলেন তানজিন তিশা

বগুড়ায় মহাঅষ্টমীতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৯:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজায় মহাষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রাম এলাকার শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে এই পূজার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে আশ্রম প্রাঙ্গণ।

হিন্দু শাস্ত্রমতে, কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধের মধ্য দিয়ে। কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হয়। সে সব দেবগণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকে মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।

বগুড়ায় কুমারী পূজার জন্য মাতৃভাবের পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে এ বছর কুমারী মায়ের আসনে বসানো হয় ৮ বছর বয়সী নিভৃত মন্দির সাহাকে। কুমারীর বয়স ৮ বছর হওয়ায় উমা নামে পূজিত হন। পূজা কার্যক্রম পরিচালনা করেন আশ্রমের পুরোহিত বাসুদেব ব্যানার্জী।

পুরোহিত উপস্থিত পূজার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী। মুলত নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে কুমারী পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তব কুমারী পূজা।’

পূজা দেখতে আসা মনিকা ঘোষ বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুমারী পূজা দেখতে এসেছি। মূলত নারী শক্তির জয় হোক, নারীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাক আজ এই প্রার্থনা করি।’

বনশ্রী সাহা বলেন, গত তিন বছর ধরে এই আশ্রমে কুমারী পূজা হচ্ছে। জগত মাতার শুদ্ধতার প্রতিক হচ্ছেন কুমারী। স্বামী বিবেকানন্দন প্রথম কুমারী পূজা শুরু করেছিলেন। মানুষের মধ্যেই মা দুর্গা রয়েছেন, এই বোধটাকেই সাধারণ মানুষের প্রচার করার জন্য কুমারী পূজা শুরু করা হয়েছিলো।’

পুরোহিত উপস্থিত পূজার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী। মুলত নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে কুমারী পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তব রুপ এই কুমারী পূজা।’

এদিকে, বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর বগুড়ায় ১২টি উপজেলায় ৬৩০ মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও মন্দির কমিটির পক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। আগামী রবিবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দুর্গোৎসব শেষ হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন

বগুড়ায় মহাঅষ্টমীতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৯:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

বগুড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজায় মহাষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রাম এলাকার শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে এই পূজার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে আশ্রম প্রাঙ্গণ।

হিন্দু শাস্ত্রমতে, কুমারী পূজার উদ্ভব হয় কোলাসুরকে বধের মধ্য দিয়ে। কোলাসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হয়। সে সব দেবগণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এরপর থেকে মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।

বগুড়ায় কুমারী পূজার জন্য মাতৃভাবের পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে এ বছর কুমারী মায়ের আসনে বসানো হয় ৮ বছর বয়সী নিভৃত মন্দির সাহাকে। কুমারীর বয়স ৮ বছর হওয়ায় উমা নামে পূজিত হন। পূজা কার্যক্রম পরিচালনা করেন আশ্রমের পুরোহিত বাসুদেব ব্যানার্জী।

পুরোহিত উপস্থিত পূজার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী। মুলত নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে কুমারী পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তব কুমারী পূজা।’

পূজা দেখতে আসা মনিকা ঘোষ বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুমারী পূজা দেখতে এসেছি। মূলত নারী শক্তির জয় হোক, নারীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাক আজ এই প্রার্থনা করি।’

বনশ্রী সাহা বলেন, গত তিন বছর ধরে এই আশ্রমে কুমারী পূজা হচ্ছে। জগত মাতার শুদ্ধতার প্রতিক হচ্ছেন কুমারী। স্বামী বিবেকানন্দন প্রথম কুমারী পূজা শুরু করেছিলেন। মানুষের মধ্যেই মা দুর্গা রয়েছেন, এই বোধটাকেই সাধারণ মানুষের প্রচার করার জন্য কুমারী পূজা শুরু করা হয়েছিলো।’

পুরোহিত উপস্থিত পূজার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী। মুলত নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে কুমারী পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় যে দেবীর পূজা করা হয়, তারই বাস্তব রুপ এই কুমারী পূজা।’

এদিকে, বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর বগুড়ায় ১২টি উপজেলায় ৬৩০ মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও মন্দির কমিটির পক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। আগামী রবিবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দুর্গোৎসব শেষ হবে।