ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন বগুড়ায় দিনের বেলা চাকু দিয়ে কুপিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই সংবাদ প্রচারের পর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের চুরি হওয়া মূল্যবান সেগুন গাছের ১৬ টি খন্ডাংশ উদ্ধার ঢাকা ওয়াসায় আওয়ামী অপশাসন রোধ ও সুশাসন নিশ্চিত কল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি যার সুফল নগরবাসী ইতিমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসা আগামীর বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: ডা. শফিকুর রহমান যশোরে আলাদা দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ আহত ১৫ নাগরপুরে ভবন নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব ইসমাইল হোসেন গ্রেফতার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য শেহজাদের অদ্ভুত প্রস্তাব নতুন ভাইরাস ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’র লক্ষণ ও প্রতিকার বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে ফের বসবে সমমনা দলগুলো কাজের প্রতি সৎ থাকার দাবী করলেন তানজিন তিশা

তিস্তার পানি বিপদ সীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপরে

ফাইল ছবি।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে কিছু কিছু এলাকায় ধান ক্ষেত বাদাম ক্ষেত ও মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নিয়ে আতঙ্কে আছে মানুষজন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকাল ৩টার তথ্যমতে ধরলা ব্রহ্মপুত্র দুধকুমারের পানি বিপদ সীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সৃষ্ট বন্যায় তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং গ্রামীন কাঁচা সড়ক নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে শুধু রাজারহাট উপজেলায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ৬০০ পরিবার। এছাড়া ৩ শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমী ফসলের ক্ষেতে পানির নিচে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি অফিস।

রাজারহাট উপজেলার খিতাব খা গ্রামের কৃষক মোঃ ছালে আহমেদ বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে আধা পাকা ধান ক্ষেতে হঠাৎ তলিয়ে গেছে। কিছু ধান কাটতে পারলেও বাকিসব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।

আরেক কৃষক আবু বক্কর বলেন, আমার শাক সবজি, ও বাদাম ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ করে এমন পানি হবে চিন্তাও করতে পারি নাই।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা বেগম বলেন, আমার উপজেলায় প্রায় ৬শ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। গতকাল কিছু পরিবারকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হঠাৎ করেই তো তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আমাদের লোকজন কাজ করছে মাঠে কি পরিমাণ ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে পরে জানা যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আজ সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করবে। এছাড়াও অনান্য নদ নদীর পানি কমবে। কিন্তু বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভবনা নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন

তিস্তার পানি বিপদ সীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপরে

আপডেট সময় ০১:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে কিছু কিছু এলাকায় ধান ক্ষেত বাদাম ক্ষেত ও মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নিয়ে আতঙ্কে আছে মানুষজন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকাল ৩টার তথ্যমতে ধরলা ব্রহ্মপুত্র দুধকুমারের পানি বিপদ সীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সৃষ্ট বন্যায় তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং গ্রামীন কাঁচা সড়ক নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে শুধু রাজারহাট উপজেলায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ৬০০ পরিবার। এছাড়া ৩ শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমী ফসলের ক্ষেতে পানির নিচে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি অফিস।

রাজারহাট উপজেলার খিতাব খা গ্রামের কৃষক মোঃ ছালে আহমেদ বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে আধা পাকা ধান ক্ষেতে হঠাৎ তলিয়ে গেছে। কিছু ধান কাটতে পারলেও বাকিসব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল।

আরেক কৃষক আবু বক্কর বলেন, আমার শাক সবজি, ও বাদাম ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ করে এমন পানি হবে চিন্তাও করতে পারি নাই।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা বেগম বলেন, আমার উপজেলায় প্রায় ৬শ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। গতকাল কিছু পরিবারকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হঠাৎ করেই তো তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আমাদের লোকজন কাজ করছে মাঠে কি পরিমাণ ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে পরে জানা যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আজ সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করবে। এছাড়াও অনান্য নদ নদীর পানি কমবে। কিন্তু বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভবনা নেই।