উজানের দেশগুলো থেকে বৃষ্টিপাতের তথ্য পাওয়ার বিষয়টি দিয়েই শুরু হবে অভিন্ন নদীতে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের আলোচনা।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজনৈতিক কারনে পানি ভাগাভাগিতে দুই দেশের স্বাক্ষর চুক্তিভিত্তিক খুব জটিল হয়ে গেছে। মানবিক প্রয়োজনের কাছে রাজনৈতিক কোনো প্রশ্ন শোভা পায় না। শীঘ্রই আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসবো।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গ্রীণ রোডের পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ বিষয়ক বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিবেশীকে ভারী বৃষ্টিপাতের তথ্য জানানোর ইস্যুটি মানবিক, এটাকে রাজনৈতিকভাবে দেখার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য তার। বিশ্ব নদী দিবসের সেমিনারে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে বিগত কয়েক দশক ধরে নানামুখী সংকটে পানির প্রবাহ। উজানের বাঁধ, দেশের মধ্যে দখল, দূষণ, ভাঙন ও প্রবাহ স্বল্পতা দেশের নদীগুলোর প্রধান সমস্যা।
২০২৩ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৮ টি। আর বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সমীক্ষা বলছে, গত দুই দশকে দেশে ৩ শতাধিক নদী শুকিয়ে গেছে। আর মরণাপন্ন অবস্থায় আছে প্রায় ৪শ নদী। দুই প্রতিবেশী ভারত এবং মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৭টি। এরমধ্যে ভারতের সাথে অভিন্ন ৫৪টি নদীর মধ্যে ৩৬টিতে ৫৪টি ব্যারাজ ও ড্যাম আছে।
বিশ্ব নদী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে দেশের ৩৫টি সংগঠন আয়োজিত সেমিনারে গবেষকরা বলেন, আন্তঃসীমান্ত নদীর সাথে সম্পর্ক অভ্যন্তরীণ নদীর। তাই নদী বিষয়ক ক্ষতিপূরণ আদায়ে শক্ত অবস্থান নিতে হবে বাংলাদেশকে।
আলোচনায় উঠে আসে সাম্প্রতিক দেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার প্রসঙ্গও। পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে ভারত চায়না থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের ব্যাপারে তথ্য পেতে হবে। আন্তর্জাতিক নদীর হিস্যা আদায়ে ভারতের সাথে শিগগিরই আলোচনার কথাও জানান পানিসম্পদ উপদেষ্টা।