ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
নতুন ভাইরাস ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’র লক্ষণ ও প্রতিকার ঝুপড়ি ঘরে অনাহারে দিন কাটছে প্রতিবন্ধী ইছামতীর এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফারুকী বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ে চলছে ‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি: শীতের প্রকোপ কমে, বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামীর বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: ডা. শফিকুর রহমান যশোরে আলাদা দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ আহত ১৫ নাগরপুরে ভবন নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব ইসমাইল হোসেন গ্রেফতার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য শেহজাদের অদ্ভুত প্রস্তাব বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে ফের বসবে সমমনা দলগুলো কাজের প্রতি সৎ থাকার দাবী করলেন তানজিন তিশা নরসিংদীতে পাওয়ারলুম মালিককে পিটিয়ে হত্যা, আটক-৪ বেইলি ব্রিজ সংস্করণের অভাবে দূর্ঘটনা ও অপমৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্টদের কিয়েভে ৬টি বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

যেসব হত্যার বিচার আগে হবে: চিফ প্রসিকিউর

চিফ প্রসিকিউটর: মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ‘সেনসিটিভ’, ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় বড় হত্যাকাণ্ড যেগুলো হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে বিচারের জন্য আগে আনা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল এই মুহূর্তে ফাংশনিংয়ে নেই। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করেছি। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ না হলে এই যে, যারা আসামি আছে তাদের গ্রেপ্তার আদেশ যদি চাই, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের কোর্টের আদেশ ছাড়া কঠিন। সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালটা পুনর্গঠন করা হোক। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হলে কাজগুলো খুব দ্রুত গতিতে এগোবে। আমাদের প্রস্তুতিগুলো এগোবে। সে চেষ্টা অব্যাহত আছে, মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে নিরপেক্ষ বিচারক লাগবে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারক লাগবে। হাইকোর্ট ডিভিশনে বিচারক আছেন, যারা বিগত সরকারের আমলে নিয়োজিত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে তাদের যদি ট্রাইব্যুনালে আনা হয় তাহলে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। আমরা চাই, এমন সব বিচারক নিয়ে আসা হোক, যাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। সে কারণে সরকার নানান দিক বিবেচনা করছে। এ জন্য সময় লাগছে। কোন বিচারগুলো আগে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা চাচ্ছি যেগুলো সবচাইতে বেশি সেনসেটিভ, সেগুলো আগে করতে। ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় বড় হত্যাকাণ্ড যেগুলো হয়েছে, যেমন উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মিরপুর ও আশুলিয়াতে হয়েছে, যেগুলো নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং জাজ্বল্যমান সেগুলো আলাদা আলাদা করে তদন্ত করে দ্রুত এগুলো বিচারের জন্য আগে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। ঢাকার বাইরে রংপুরের আবু সাঈদ। সেটাও প্রায়োরিটি বেসিসে চেষ্টা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, তদন্ত সংস্থার কাছে বা প্রসিকিউশনের কাছে যেগুলো আসছে, সেগুলো সরাসরি মামলা না। সেগুলো অভিযোগ আকারে আসছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা যখন ট্রাইব্যুনালের কাছে পিটিশন আকারে উপস্থাপন করবো, তখন আন্তর্জজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের অধীনে মামলা হবে। সে মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযোগে কারো নাম আসলে তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বা থানার ব্যাপার আলাদা। আমরা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করবো। এখানে ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন ভাইরাস ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’র লক্ষণ ও প্রতিকার

ঝুপড়ি ঘরে অনাহারে দিন কাটছে প্রতিবন্ধী ইছামতীর

এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফারুকী

বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ে চলছে ‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি: শীতের প্রকোপ কমে, বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগামীর বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: ডা. শফিকুর রহমান

যেসব হত্যার বিচার আগে হবে: চিফ প্রসিকিউর

আপডেট সময় ০৭:৩২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ‘সেনসিটিভ’, ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় বড় হত্যাকাণ্ড যেগুলো হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে বিচারের জন্য আগে আনা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল এই মুহূর্তে ফাংশনিংয়ে নেই। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করেছি। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ না হলে এই যে, যারা আসামি আছে তাদের গ্রেপ্তার আদেশ যদি চাই, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের কোর্টের আদেশ ছাড়া কঠিন। সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালটা পুনর্গঠন করা হোক। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হলে কাজগুলো খুব দ্রুত গতিতে এগোবে। আমাদের প্রস্তুতিগুলো এগোবে। সে চেষ্টা অব্যাহত আছে, মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে নিরপেক্ষ বিচারক লাগবে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারক লাগবে। হাইকোর্ট ডিভিশনে বিচারক আছেন, যারা বিগত সরকারের আমলে নিয়োজিত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে তাদের যদি ট্রাইব্যুনালে আনা হয় তাহলে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। আমরা চাই, এমন সব বিচারক নিয়ে আসা হোক, যাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। সে কারণে সরকার নানান দিক বিবেচনা করছে। এ জন্য সময় লাগছে। কোন বিচারগুলো আগে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা চাচ্ছি যেগুলো সবচাইতে বেশি সেনসেটিভ, সেগুলো আগে করতে। ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় বড় হত্যাকাণ্ড যেগুলো হয়েছে, যেমন উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মিরপুর ও আশুলিয়াতে হয়েছে, যেগুলো নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং জাজ্বল্যমান সেগুলো আলাদা আলাদা করে তদন্ত করে দ্রুত এগুলো বিচারের জন্য আগে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। ঢাকার বাইরে রংপুরের আবু সাঈদ। সেটাও প্রায়োরিটি বেসিসে চেষ্টা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, তদন্ত সংস্থার কাছে বা প্রসিকিউশনের কাছে যেগুলো আসছে, সেগুলো সরাসরি মামলা না। সেগুলো অভিযোগ আকারে আসছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা যখন ট্রাইব্যুনালের কাছে পিটিশন আকারে উপস্থাপন করবো, তখন আন্তর্জজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের অধীনে মামলা হবে। সে মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযোগে কারো নাম আসলে তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বা থানার ব্যাপার আলাদা। আমরা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করবো। এখানে ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।