ঢাকা ০১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরে আগুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার খালাতো ভাই তুহিনের জামিন মঞ্জুর বগুড়ায় ঋণের চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যা স্ত্রীকে মারপিট নিষেধ করায় বড় ভাইকে হাতুড়িপেটায় হত্যা; ছোট ভাই আটক মির্জাপুর উপজেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ ও ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কাজ দমনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে; বললেন নতুন ওসি রাশেদুল ইসলাম বাবুগঞ্জে অস্থায়ী নদীর বাঁধ নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের প্রতিবাদে নদীরপাড়ে ১ কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন ভালুকায় ছুরিকাঘাতে একজন খুন বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে হিরো আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা মাত্র ২০০ টাকার জন্য বাজিতপুরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: এলাকাজুড়ে শোক ও উত্তেজনা শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ব্যবহার নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করল ছাত্র ময়মনসিংহে র‍্যাবের হাতে ভুয়া মেজর ও গণধর্ষণের মামলায় আটক ৬ পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান: সাত মাস্টার এজেন্ট আটক

কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে এলজিইডির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে: রফিকুল হাসান

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০১:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৫৬৫ বার পড়া হয়েছে

এলজিইডির ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের পরিচালক মো. রফিকুল হাসান

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের (CAFDRIRP) পরিচালক মো. রফিকুল হাসান দৈনিক বাংলাদেশ সময়কে বলেন, “সামগ্রিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হলে এর মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু যথাসময়ে প্রকল্পের কর্মকাণ্ড সমাপ্তি না হলে এক বছর সময় বৃদ্ধি হয়।”

রফিকুল হাসান বলেন, “করোনা ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে কর্মকাণ্ডের গতি কিছুটা হলেও স্থবির হয়ে পড়ে। এজন্য কোনো কর্মকাণ্ডই যথাসময়ে সম্পন্ন হয়নি। সম্ভবতই প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।”

প্রকল্প পরিচালক বলেন, “প্রকল্পের প্রায় ৫০% টাকা খরচ করতে পেরেছি, সম্পূর্ণ টাকা খরচ করতে সময় বৃদ্ধি করতে হবে। দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তিসহ প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিপি তৈরি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, প্লানিং কমিশন ও একনেক বৈঠকে অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়।”

তিনি বলেন, “ডিপিপির অন্তর্ভুক্ত স্কিমগুলোই বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি। নিয়ম অনুযায়ী ডিপিপিভুক্ত নয় এমন কোনো স্কিম করার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে সময়ের সাথে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে এবং অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক অন্তর্ভুক্তিকরণের গুরুত্ব বেড়েছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের পূর্বে ডিপিভি তৈরি হওয়ায় নতুন স্কিম নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রকল্পের শেষের দিকে ১৫% স্কিম রিভাইজ করার সম্ভাব্যতা রয়েছে। বর্তমানে ৫৫টি জেলায় এর কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যথারীতি প্রতিটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাজের গতি বাড়ানোসহ যথাসময়ে গুণগত মান নিশ্চিত করে কাজ সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। সরেজমিনে কাজ পরিদর্শনসহ বিভিন্ন জেলায় সফর করে কাজ চলমান রাখাসহ গুণগত মান রক্ষা করে দ্রুত সময় সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা চলমান রেখেছি। ৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর কাজের গতি কিছুটা স্থবির হলেও সামগ্রিক কর্মকাণ্ড সচল করতে পেরেছি এবং ৫৫টি জেলায় কাজের গতিও বেড়েছে।”

প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল হাসান বলেন, “স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়ার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা মোতাবেক প্রকল্পের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি এবং আশানুরূপ সুফল পাচ্ছি।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরে আগুন

Verified by MonsterInsights

কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে এলজিইডির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে: রফিকুল হাসান

আপডেট সময় ০১:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের (CAFDRIRP) পরিচালক মো. রফিকুল হাসান দৈনিক বাংলাদেশ সময়কে বলেন, “সামগ্রিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হলে এর মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু যথাসময়ে প্রকল্পের কর্মকাণ্ড সমাপ্তি না হলে এক বছর সময় বৃদ্ধি হয়।”

রফিকুল হাসান বলেন, “করোনা ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে কর্মকাণ্ডের গতি কিছুটা হলেও স্থবির হয়ে পড়ে। এজন্য কোনো কর্মকাণ্ডই যথাসময়ে সম্পন্ন হয়নি। সম্ভবতই প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।”

প্রকল্প পরিচালক বলেন, “প্রকল্পের প্রায় ৫০% টাকা খরচ করতে পেরেছি, সম্পূর্ণ টাকা খরচ করতে সময় বৃদ্ধি করতে হবে। দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তিসহ প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিপি তৈরি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, প্লানিং কমিশন ও একনেক বৈঠকে অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়।”

তিনি বলেন, “ডিপিপির অন্তর্ভুক্ত স্কিমগুলোই বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি। নিয়ম অনুযায়ী ডিপিপিভুক্ত নয় এমন কোনো স্কিম করার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে সময়ের সাথে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে এবং অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক অন্তর্ভুক্তিকরণের গুরুত্ব বেড়েছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের পূর্বে ডিপিভি তৈরি হওয়ায় নতুন স্কিম নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রকল্পের শেষের দিকে ১৫% স্কিম রিভাইজ করার সম্ভাব্যতা রয়েছে। বর্তমানে ৫৫টি জেলায় এর কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যথারীতি প্রতিটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাজের গতি বাড়ানোসহ যথাসময়ে গুণগত মান নিশ্চিত করে কাজ সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। সরেজমিনে কাজ পরিদর্শনসহ বিভিন্ন জেলায় সফর করে কাজ চলমান রাখাসহ গুণগত মান রক্ষা করে দ্রুত সময় সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা চলমান রেখেছি। ৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর কাজের গতি কিছুটা স্থবির হলেও সামগ্রিক কর্মকাণ্ড সচল করতে পেরেছি এবং ৫৫টি জেলায় কাজের গতিও বেড়েছে।”

প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল হাসান বলেন, “স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়ার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা মোতাবেক প্রকল্পের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি এবং আশানুরূপ সুফল পাচ্ছি।”