ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে এলজিইডির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে: রফিকুল হাসান

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০১:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

এলজিইডির ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের পরিচালক মো. রফিকুল হাসান

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের (CAFDRIRP) পরিচালক মো. রফিকুল হাসান দৈনিক বাংলাদেশ সময়কে বলেন, “সামগ্রিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হলে এর মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু যথাসময়ে প্রকল্পের কর্মকাণ্ড সমাপ্তি না হলে এক বছর সময় বৃদ্ধি হয়।”

রফিকুল হাসান বলেন, “করোনা ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে কর্মকাণ্ডের গতি কিছুটা হলেও স্থবির হয়ে পড়ে। এজন্য কোনো কর্মকাণ্ডই যথাসময়ে সম্পন্ন হয়নি। সম্ভবতই প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।”

প্রকল্প পরিচালক বলেন, “প্রকল্পের প্রায় ৫০% টাকা খরচ করতে পেরেছি, সম্পূর্ণ টাকা খরচ করতে সময় বৃদ্ধি করতে হবে। দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তিসহ প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিপি তৈরি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, প্লানিং কমিশন ও একনেক বৈঠকে অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়।”

তিনি বলেন, “ডিপিপির অন্তর্ভুক্ত স্কিমগুলোই বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি। নিয়ম অনুযায়ী ডিপিপিভুক্ত নয় এমন কোনো স্কিম করার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে সময়ের সাথে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে এবং অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক অন্তর্ভুক্তিকরণের গুরুত্ব বেড়েছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের পূর্বে ডিপিভি তৈরি হওয়ায় নতুন স্কিম নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রকল্পের শেষের দিকে ১৫% স্কিম রিভাইজ করার সম্ভাব্যতা রয়েছে। বর্তমানে ৫৫টি জেলায় এর কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যথারীতি প্রতিটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাজের গতি বাড়ানোসহ যথাসময়ে গুণগত মান নিশ্চিত করে কাজ সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। সরেজমিনে কাজ পরিদর্শনসহ বিভিন্ন জেলায় সফর করে কাজ চলমান রাখাসহ গুণগত মান রক্ষা করে দ্রুত সময় সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা চলমান রেখেছি। ৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর কাজের গতি কিছুটা স্থবির হলেও সামগ্রিক কর্মকাণ্ড সচল করতে পেরেছি এবং ৫৫টি জেলায় কাজের গতিও বেড়েছে।”

প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল হাসান বলেন, “স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়ার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা মোতাবেক প্রকল্পের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি এবং আশানুরূপ সুফল পাচ্ছি।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে এলজিইডির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে: রফিকুল হাসান

আপডেট সময় ০১:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের (CAFDRIRP) পরিচালক মো. রফিকুল হাসান দৈনিক বাংলাদেশ সময়কে বলেন, “সামগ্রিক স্বার্থ সংরক্ষণ ও কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হলে এর মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু যথাসময়ে প্রকল্পের কর্মকাণ্ড সমাপ্তি না হলে এক বছর সময় বৃদ্ধি হয়।”

রফিকুল হাসান বলেন, “করোনা ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে কর্মকাণ্ডের গতি কিছুটা হলেও স্থবির হয়ে পড়ে। এজন্য কোনো কর্মকাণ্ডই যথাসময়ে সম্পন্ন হয়নি। সম্ভবতই প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।”

প্রকল্প পরিচালক বলেন, “প্রকল্পের প্রায় ৫০% টাকা খরচ করতে পেরেছি, সম্পূর্ণ টাকা খরচ করতে সময় বৃদ্ধি করতে হবে। দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তিসহ প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিপি তৈরি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, প্লানিং কমিশন ও একনেক বৈঠকে অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়।”

তিনি বলেন, “ডিপিপির অন্তর্ভুক্ত স্কিমগুলোই বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি। নিয়ম অনুযায়ী ডিপিপিভুক্ত নয় এমন কোনো স্কিম করার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে সময়ের সাথে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে এবং অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক অন্তর্ভুক্তিকরণের গুরুত্ব বেড়েছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের পূর্বে ডিপিভি তৈরি হওয়ায় নতুন স্কিম নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রকল্পের শেষের দিকে ১৫% স্কিম রিভাইজ করার সম্ভাব্যতা রয়েছে। বর্তমানে ৫৫টি জেলায় এর কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যথারীতি প্রতিটি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাজের গতি বাড়ানোসহ যথাসময়ে গুণগত মান নিশ্চিত করে কাজ সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। সরেজমিনে কাজ পরিদর্শনসহ বিভিন্ন জেলায় সফর করে কাজ চলমান রাখাসহ গুণগত মান রক্ষা করে দ্রুত সময় সমাপ্তির পরামর্শ দিচ্ছি। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা চলমান রেখেছি। ৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর কাজের গতি কিছুটা স্থবির হলেও সামগ্রিক কর্মকাণ্ড সচল করতে পেরেছি এবং ৫৫টি জেলায় কাজের গতিও বেড়েছে।”

প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল হাসান বলেন, “স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়ার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা মোতাবেক প্রকল্পের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি এবং আশানুরূপ সুফল পাচ্ছি।”