বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অবশ্যই রাজনীতি করবে। তবে সেই রাজনীতি যেনো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বার্থকে কেন্দ্র করে।
শিক্ষার্থীদের অবশ্যই রাজনীতি করতে হবে। তবে সেটা দলীয় কিংবা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি হওয়া যাবে না। রাজনীতি সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার।
সোমবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর ) বেলা ১১টায় উপাচার্যের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সাথে মতবিনিময়কালে চবি উপাচার্য এসব কথা বলেন ।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হবে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের রাজনীতি হবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। আমাদের সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব অনেক সময় বেশি হয়ে যায়। আর একাডেমিক কার্যক্রমের প্রতি আগ্রহ অনেক সময় কমে যায়। এটাই হল আমাদের দুঃখের জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না। তাই ছাত্র রাজনীতি একাডেমিক স্বার্থকে কেন্দ্র করেই করতে হবে। তবে এসব আমার ব্যক্তিগত মতামত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত নয়।
ড. ইয়াহ্য়া বলেন, ‘আমার এখন প্রধান টার্গেট হচ্ছে দ্রুত হলগুলোতে আসন বরাদ্দ দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসলে ধীরে ধীরে লাইব্রেরি, খাবারের মানসহ বাদবাকি সব বিষয়ে আমি নজর দেব। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কাম্য।’
উপাচার্য সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার সমালোচনা হোক সেটা আমি পছন্দ করি। আমি কোনো খারাপ কাজ করলে সেটা আপনারা বড় করে প্রচার করবেন। আমার ভালো কাজগুলো ছোট করে প্রচার করলেও চলবে।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারকে সাময়িকভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
দায়িত্ব নেয়ার পাঁচদিনের মাথায় অধ্যাপক ড.ইয়াহ্ইয়া আখতার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলে প্রভোস্ট, প্রক্টোর, ডিন নিয়োগ দিয়ে একাডেমি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল করেন।