ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো রাস্তার পাশে পড়েছিল শিশুর মাথা থেঁতলানো লাশ নিখোঁজের একদিন পর রেললাইনের পাশ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, “প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে জ্ঞান অর্জন করা হয়, তা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটা সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিকল্প ছিল না, কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি স্কুল, কিন্ডারগার্টেনের মতো অনেক বিকল্প তৈরি হয়েছে। ফলে অভিভাবকগণ সুবিধামাফিক নিজ সন্তানদের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে পারেন।”

তিনি বলেন, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হচ্ছে। অথচ, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে পড়ানোর জন্য অভিভাবকদের বহু অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হয়। সুতরাং, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার কথা নয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের যে অবকাঠামো রয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগেরই সে অবকাঠামো নেই।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় মানসম্পন্ন এবং তাদের নিয়মিত ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা রয়েছে।”

শনিবার (২২ মার্চ) ময়মনসিংহের টাউন হল এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার, প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপদেষ্টা আরও বলেন, “কর্মঘণ্টা ঠিক রেখে প্রধান শিক্ষকরা রুটিন মডিফাই করতে পারবেন। শহর ও গ্রামে কোন সময়ে পাঠদানের সময় নির্ধারণ করলে ভালো হয়, সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। স্থানীয়ভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্কুল বন্ধ রাখতে হলে শনিবার খোলা রেখে সেটি কভার দেওয়া যেতে পারে।”

বছরে টোটাল কর্মদিবস মাত্র ১৮৫ দিনের মতো উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “এর মধ্যেও অনেক দিন বিভিন্নভাবে নষ্ট হয়। তাই স্কুল শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, স্কুল চলাকালীন সময়ে তারা যেন নিজেদের অন্য কাজে নিয়োজিত না করেন।”

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, “স্কুলের ছুটি কমানোর ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে কাজ করার চেষ্টা করব। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টার্গেটটা ছোট, কিন্তু তা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে একজন শিক্ষার্থীকে স্বাক্ষর করে গড়ে তোলা হয়। উদ্দেশ্য থাকে শিক্ষার্থী যেন তার নিজের ভাষায় পড়তে, মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারে।”

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুপার, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীগণ।

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো

Verified by MonsterInsights

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৯:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, “প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে জ্ঞান অর্জন করা হয়, তা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটা সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিকল্প ছিল না, কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি স্কুল, কিন্ডারগার্টেনের মতো অনেক বিকল্প তৈরি হয়েছে। ফলে অভিভাবকগণ সুবিধামাফিক নিজ সন্তানদের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে পারেন।”

তিনি বলেন, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হচ্ছে। অথচ, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে পড়ানোর জন্য অভিভাবকদের বহু অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হয়। সুতরাং, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার কথা নয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের যে অবকাঠামো রয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগেরই সে অবকাঠামো নেই।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় মানসম্পন্ন এবং তাদের নিয়মিত ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা রয়েছে।”

শনিবার (২২ মার্চ) ময়মনসিংহের টাউন হল এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা।

ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার, প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপদেষ্টা আরও বলেন, “কর্মঘণ্টা ঠিক রেখে প্রধান শিক্ষকরা রুটিন মডিফাই করতে পারবেন। শহর ও গ্রামে কোন সময়ে পাঠদানের সময় নির্ধারণ করলে ভালো হয়, সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। স্থানীয়ভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্কুল বন্ধ রাখতে হলে শনিবার খোলা রেখে সেটি কভার দেওয়া যেতে পারে।”

বছরে টোটাল কর্মদিবস মাত্র ১৮৫ দিনের মতো উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “এর মধ্যেও অনেক দিন বিভিন্নভাবে নষ্ট হয়। তাই স্কুল শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, স্কুল চলাকালীন সময়ে তারা যেন নিজেদের অন্য কাজে নিয়োজিত না করেন।”

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, “স্কুলের ছুটি কমানোর ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে কাজ করার চেষ্টা করব। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টার্গেটটা ছোট, কিন্তু তা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে একজন শিক্ষার্থীকে স্বাক্ষর করে গড়ে তোলা হয়। উদ্দেশ্য থাকে শিক্ষার্থী যেন তার নিজের ভাষায় পড়তে, মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারে।”

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুপার, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, সহকারী ইন্সট্রাক্টর এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীগণ।