ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় নবীনগরে রিপন মুন্সির হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঝুঁকির মুখে কালনী এক্সপ্রেস, চালকের দক্ষতায় রক্ষা নবীনগরে ফসলি জমির মাটি কাটায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশ্বাস ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন শ্রম অধিদপ্তরের নতুন ডিজি এ কে এম তারিকুল আলম ডুয়েট প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসোসিয়েশন (ডেজা)’র উদ্যোগে মরহুম প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম খানের স্মরণে শোকসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত কোরবানির উপলক্ষে – বাবুগঞ্জে কামাররা ব্যস্ততা সময় পার করছে বারবার ভূল চিকিৎসায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ; ক্লিনিক বন্ধের দাবি সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী শিশুর মৃত্যু, চালকসহ আহত ৬ পাবিপ্রবি’র প্রথম জাতীয় কনফারেন্সের মাধ্যমে গবেষণার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে: ফারুক হোসেন চৌধুরী ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে বিএসএফের পুশইনকৃত ১২ বাংলাদেশী আটক

কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ছাত্র উচাইওয়াং মারমা বিশ্ব গণিত প্রতিযোগিতায় সিলভার মেডেল জয়ী

কাতারের রাজধানী দোহার বিশ্ব গণিত দল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের একটি গণিত দল অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতার ১২তম সংস্করণে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল, বান্দরবানের ৮ম শ্রেণির এর ছাত্র উচাইওয়াং মারমা। এই প্রথম কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ছাত্ররা বিশ্ব গণিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের চারজন ছাত্র জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হওয়ার পর উচাইওয়াং মারমা চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হন। প্রতিযোগিতায় তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য উচাইওয়াং মারমা সিলভার মেডেল অর্জন করেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন তার এই সাফল্য সম্পর্কে বলেন, “উচাইওয়াং প্রতিদিন ক্লাস শেষে সুযোগ পেলেই গণিত চর্চা করতেন। তার কঠোর পরিশ্রম দেখে শিক্ষকরা তাকে সহযোগিতা করতাম। আজ তার সাফল্যের মাধ্যমে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এবং বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্যহীন বা এতিম শিশুদের পড়ালেখার সুযোগ দেওয়া হয়। এটি একটি আবাসিক স্কুল। ২০১৬ সালে উচাইওয়াং মারমা এই স্কুলের শিশু ক্লাসে ভর্তি হন।”

উচাইওয়াং মারমার মা বলেন, “যদি উচাইওয়াং কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে ভর্তি না হতো, তাহলে এত দূর আসা সম্ভব হত না। আমি স্কুলের সকল শিক্ষককে ধন্যবাদ জানাই তাদের সাহায্যের জন্য।”

উল্লেখযোগ্য যে, উচাইওয়াং মারমার বাবা নেই, তিনি বান্দরবান জেলার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা। তার মা ও দাদি উচাইওয়াং মারমার মূল অভিভাবক।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

Verified by MonsterInsights

কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ছাত্র উচাইওয়াং মারমা বিশ্ব গণিত প্রতিযোগিতায় সিলভার মেডেল জয়ী

আপডেট সময় ০৫:১৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

কাতারের রাজধানী দোহার বিশ্ব গণিত দল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের একটি গণিত দল অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতার ১২তম সংস্করণে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল, বান্দরবানের ৮ম শ্রেণির এর ছাত্র উচাইওয়াং মারমা। এই প্রথম কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ছাত্ররা বিশ্ব গণিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের চারজন ছাত্র জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হওয়ার পর উচাইওয়াং মারমা চূড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হন। প্রতিযোগিতায় তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য উচাইওয়াং মারমা সিলভার মেডেল অর্জন করেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন তার এই সাফল্য সম্পর্কে বলেন, “উচাইওয়াং প্রতিদিন ক্লাস শেষে সুযোগ পেলেই গণিত চর্চা করতেন। তার কঠোর পরিশ্রম দেখে শিক্ষকরা তাকে সহযোগিতা করতাম। আজ তার সাফল্যের মাধ্যমে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এবং বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্যহীন বা এতিম শিশুদের পড়ালেখার সুযোগ দেওয়া হয়। এটি একটি আবাসিক স্কুল। ২০১৬ সালে উচাইওয়াং মারমা এই স্কুলের শিশু ক্লাসে ভর্তি হন।”

উচাইওয়াং মারমার মা বলেন, “যদি উচাইওয়াং কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে ভর্তি না হতো, তাহলে এত দূর আসা সম্ভব হত না। আমি স্কুলের সকল শিক্ষককে ধন্যবাদ জানাই তাদের সাহায্যের জন্য।”

উল্লেখযোগ্য যে, উচাইওয়াং মারমার বাবা নেই, তিনি বান্দরবান জেলার একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা। তার মা ও দাদি উচাইওয়াং মারমার মূল অভিভাবক।