ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
মাঘের শীতে তাপমাত্রা হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’- এ অংশগ্রহণ করলেন বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে ইসরায়েলি নেতাদের ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখলের প্রস্তাবে সমর্থন মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীকে বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করছে ভারতের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে আলোচনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘ধানমন্ডি ৩২’ মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ৪ পুলিশ সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব শেখ মুজিবকে নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক্সে পোস্টের সত্যতা!

কুড়িগ্রামে ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ

নদী ভাঙন

কুড়িগ্রামের তিস্তার অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অনেটাই উন্নতি হয়েছে। উন্নতি হলেও তীব্র নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। ভাঙনে বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। অপরদিকে অব্যাহত ভাঙন দেখা দিয়েছে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।

এছাড়াও তিস্তা নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনও তলিয়ে আছে শত শত হেক্টর জমির আমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত।

কৃষকরা জানান, আকষ্মিক বন্যায় আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলমান বন্যায় জেলার ৪শ ৩১ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় আমন আবাদের ক্ষতি না হলেও অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বাড়লে ভাঙে,কমলেও ভাঙে। পানি কমার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হলেও কোন ব্যবস্থা নেই এখানে। যার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন ভাঙন কবলিতরা।

রাজারহাট উপজেলার তিস্তার অববাহিকার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন বলেন, তিস্তার কয়েকদিনের ভাঙনে আমার রোপা আমন আবাদসহ জমি নদীতে চলে গেছে। জমি গেছে গেছে বাড়িও কখন যেন নদীতে যায়।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজের অনুমতি না থাকায় কাজ করতে পারছেন না বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মাঘের শীতে তাপমাত্রা হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর

Verified by MonsterInsights

কুড়িগ্রামে ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ

আপডেট সময় ০৮:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামের তিস্তার অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অনেটাই উন্নতি হয়েছে। উন্নতি হলেও তীব্র নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। ভাঙনে বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। অপরদিকে অব্যাহত ভাঙন দেখা দিয়েছে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।

এছাড়াও তিস্তা নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনও তলিয়ে আছে শত শত হেক্টর জমির আমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত।

কৃষকরা জানান, আকষ্মিক বন্যায় আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলমান বন্যায় জেলার ৪শ ৩১ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় আমন আবাদের ক্ষতি না হলেও অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বাড়লে ভাঙে,কমলেও ভাঙে। পানি কমার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হলেও কোন ব্যবস্থা নেই এখানে। যার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন ভাঙন কবলিতরা।

রাজারহাট উপজেলার তিস্তার অববাহিকার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন বলেন, তিস্তার কয়েকদিনের ভাঙনে আমার রোপা আমন আবাদসহ জমি নদীতে চলে গেছে। জমি গেছে গেছে বাড়িও কখন যেন নদীতে যায়।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজের অনুমতি না থাকায় কাজ করতে পারছেন না বলে জানান তিনি।