কুড়িগ্রামে মাঘের ঘন কুয়াশা সরিয়ে ৭দিন পর দেখা মিলেছে সূর্যের। এতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে কুড়িগ্রামের মানুষের জনজীবনে। গত সাতদিন ধরে উত্তরাঞ্চলের এই তীব্র কুয়াশা বেড়েছে, আর সেই সঙ্গে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে বিস্তীর্ণ মাঠ, নদীর পাড় ও গ্রামের পথঘাট।
আজ রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সূর্যের প্রথম আলোর সঙ্গে প্রকৃতিতে এক অনন্য সৌন্দর্যের আবির্ভাব হয়। কুয়াশা ভেদ করে প্রকৃতি যেন নতুন করে জেগে ওঠে। মাঠে কৃষকদের কর্মচাঞ্চল্য, শিশুরা শীতের পোশাকে জড়িয়ে স্কুলমুখী, সব মিলিয়ে গ্রামীণ জীবনে এক অন্যরকম গতির সঞ্চার হয়।
কুড়িগ্রাম সদরে কৃষক শাহ আলম জানান, বর্তমানে ধানের চারা লাগানোর সময়, কিন্তু গত সাতদিন ধরে যে শীত পড়েছে সে কারণে আমাদের কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়, আজ সূর্যের দেখা মিলেছে কিছুটা হলেও কাজে স্বস্তি পাচ্ছি।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর বাসিন্দা রহিম উদ্দিন বলেন, “প্রতিদিন সকালবেলা ঘন কুয়াশায় সবকিছু ঢাকা পড়ে যায়। তবে সাতদিন পর আজ সূর্যের আলো দেখতে পেয়ে মনে হচ্ছে প্রকৃতিও হাসছে। চারপাশ পরিষ্কার হয়ে গেছে, প্রকৃতি যেন আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে।”
কুড়িগ্রাম সদরের ভ্যানচালক সাইদুল ইসলাম জানান, গত সাতদিন ধরে ঠান্ডার কারণে তেমন কোনো আয় ইনকাম হয়নি, আজকে একটু রোদ পড়েছে, সূর্যের দেখা মিলেছে। আজকে মোটামুটি আয় ইনকাম করতে পারবো।
এদিকে, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, শীতার্ত মানুষের জন্য ৪৯ লক্ষ টাকা এবং ১২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় এই সহায়তা অপ্রতুল। ফলে ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতা জনজীবনে কিছুটা প্রভাব ফেললেও প্রকৃতির এই শীতল রূপ উপভোগ করছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।