ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো রাস্তার পাশে পড়েছিল শিশুর মাথা থেঁতলানো লাশ নিখোঁজের একদিন পর রেললাইনের পাশ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা

পথ হারানো কিশোরী দু’দফায় দলবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার

কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যাটারি রিকশাচালক আবুল কালাম।


বন্ধুর সঙ্গে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। রাত হয়ে যাওয়ায় তারা পথ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু অপরিচিত শহরে নেমেই পড়েন প্রতারক চক্রের হাতে। যাদের কাছে পথের সন্ধান করেছিল তারাই তাদের একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন। একপর্যায়ে ছেলে বন্ধুকে আটকে রেখে দুই দফা দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে। 

গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের পাহাড়তলী রেলস্টেশন ও দক্ষিণ খুলশী এলাকায় দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে শিক্ষার্থীদের একটি দল দুজনকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে আবুল কালাম নামে এক যুবককে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষণের জড়িতদের মধ্যে দুজই ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক।

সরকারি সিটি কলেজ শিক্ষার্থী পাপ্পু বলেন, ‘সোমবার রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। তখন মেয়েটি অসুস্থ ছিল। আমরা তাকে উদ্ধার করি। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ভোর ৪ টার দিকে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।’ 

খুলশী থানার ওসি মজিবুর রহমান সাংবাদিকে বলেন, ‘কিশোরীর জবানবন্দি নিয়ে তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’

তরুণ ও কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা মানসিকভাবে অসুস্থ। বাবা ছোটবেলায় মারা গেছেন। মোবাইলের মাধ্যমে তার সঙ্গে ওই তরুণের পরিচয় হয়। কুমিল্লার লালমাইয়ে বাড়ি তাদের তার বন্ধু স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।

সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে কুমিল্লা থেকে তারা রওনা হয়। সন্ধ্যায় তারা পাহাড়তলী রেলস্টেশনে নামে। অপরিচিত জায়গা হওয়ায় রেললাইন ধরে হাঁটছিল তারা। রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঝাউতলা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। সেখানে এক যুবকের সহায়তা চাইলে তিনি তাদের নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে কয়েকজন মিলে ওই তরুণের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন। তাতে ভয় পেয়ে যায় তারা।

রেলস্টেশন থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথ খুঁজছিল তারা। সহায়তা চায় এক ব্যাটারি রিকশা চালকের। তিনি তাদের নগরের বটতলী রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার গাড়িতে তুলে নেন। এরপর রাস্তায় ঘুরাতে থাকেন। একপর্যায়ে দক্ষিণ খুলশীর পরিত্যক্ত বাড়িটিতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও তিনজন ছিল। রাতে আর ট্রেন নেই বলে রাতে তাদের সেখানে থাকতে বলা হয়। একপর্যায়ে তরুণকে এক রুমে আটকে রেখে চারজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

ঘণ্টাখানেক পরে তাদের সেখান থেকে বের করে দেন। রাস্তায় এসে তারা আরেকটি ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকের মুখোমুখি হন। তাদের বিধ্বস্ত দশা দেখে ঘটনা জানতে চান তিনি। তাকে ঘটনা বলে তারা। তিনি বিচার করার নামে তাদের আবার সেখানে নিয়ে যান। আরেকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেও তরুণকে আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন আবার।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো

Verified by MonsterInsights

পথ হারানো কিশোরী দু’দফায় দলবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার

আপডেট সময় ০১:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪


বন্ধুর সঙ্গে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। রাত হয়ে যাওয়ায় তারা পথ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু অপরিচিত শহরে নেমেই পড়েন প্রতারক চক্রের হাতে। যাদের কাছে পথের সন্ধান করেছিল তারাই তাদের একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন। একপর্যায়ে ছেলে বন্ধুকে আটকে রেখে দুই দফা দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে। 

গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের পাহাড়তলী রেলস্টেশন ও দক্ষিণ খুলশী এলাকায় দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে শিক্ষার্থীদের একটি দল দুজনকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে আবুল কালাম নামে এক যুবককে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষণের জড়িতদের মধ্যে দুজই ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক।

সরকারি সিটি কলেজ শিক্ষার্থী পাপ্পু বলেন, ‘সোমবার রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। তখন মেয়েটি অসুস্থ ছিল। আমরা তাকে উদ্ধার করি। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ভোর ৪ টার দিকে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।’ 

খুলশী থানার ওসি মজিবুর রহমান সাংবাদিকে বলেন, ‘কিশোরীর জবানবন্দি নিয়ে তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’

তরুণ ও কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা মানসিকভাবে অসুস্থ। বাবা ছোটবেলায় মারা গেছেন। মোবাইলের মাধ্যমে তার সঙ্গে ওই তরুণের পরিচয় হয়। কুমিল্লার লালমাইয়ে বাড়ি তাদের তার বন্ধু স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।

সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে কুমিল্লা থেকে তারা রওনা হয়। সন্ধ্যায় তারা পাহাড়তলী রেলস্টেশনে নামে। অপরিচিত জায়গা হওয়ায় রেললাইন ধরে হাঁটছিল তারা। রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঝাউতলা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। সেখানে এক যুবকের সহায়তা চাইলে তিনি তাদের নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে কয়েকজন মিলে ওই তরুণের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন। তাতে ভয় পেয়ে যায় তারা।

রেলস্টেশন থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথ খুঁজছিল তারা। সহায়তা চায় এক ব্যাটারি রিকশা চালকের। তিনি তাদের নগরের বটতলী রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার গাড়িতে তুলে নেন। এরপর রাস্তায় ঘুরাতে থাকেন। একপর্যায়ে দক্ষিণ খুলশীর পরিত্যক্ত বাড়িটিতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও তিনজন ছিল। রাতে আর ট্রেন নেই বলে রাতে তাদের সেখানে থাকতে বলা হয়। একপর্যায়ে তরুণকে এক রুমে আটকে রেখে চারজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

ঘণ্টাখানেক পরে তাদের সেখান থেকে বের করে দেন। রাস্তায় এসে তারা আরেকটি ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকের মুখোমুখি হন। তাদের বিধ্বস্ত দশা দেখে ঘটনা জানতে চান তিনি। তাকে ঘটনা বলে তারা। তিনি বিচার করার নামে তাদের আবার সেখানে নিয়ে যান। আরেকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেও তরুণকে আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন আবার।