ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা সুনামগঞ্জের বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা শহরের কাছাকাছি স্থাপনের জন্য ৬দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন পাংশায় বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে যুবকের আত্মহত্যা কাবিখা প্রকল্পে কাগজে কলমে উন্নয়ন, মাঠে দুর্নীতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

সংস্কৃতিকজন ও রবীন্দ্রগবেষক ড. সানজীদা খাতুন আর নেই

ড. সানজীদা খাতুন

বিশিষ্ট সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্রগবেষক ও সংগীতজ্ঞ ড. সানজীদা খাতুন আর নেই। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ।

১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্ম নেওয়া সানজীদা খাতুন ছিলেন একাধারে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, গবেষক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও শিক্ষক। তার বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক এবং মা সাজেদা খাতুন ছিলেন গৃহিণী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন।

সংগীত ও সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি তিনি ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন চলাকালে সহযোদ্ধাদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘মিনু আপা’ নামে। এছাড়া সাংগঠনিক কাজেও ছিলেন অগ্রগামী। তিনি ছিলেন ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে ছায়ানট বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ঐতিহ্য গড়ে তোলে।

দীর্ঘ কর্মজীবনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) এবং ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা।

তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার

Verified by MonsterInsights

সংস্কৃতিকজন ও রবীন্দ্রগবেষক ড. সানজীদা খাতুন আর নেই

আপডেট সময় ০৬:০১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

বিশিষ্ট সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্রগবেষক ও সংগীতজ্ঞ ড. সানজীদা খাতুন আর নেই। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ।

১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্ম নেওয়া সানজীদা খাতুন ছিলেন একাধারে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, গবেষক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও শিক্ষক। তার বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক এবং মা সাজেদা খাতুন ছিলেন গৃহিণী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন।

সংগীত ও সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি তিনি ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন চলাকালে সহযোদ্ধাদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘মিনু আপা’ নামে। এছাড়া সাংগঠনিক কাজেও ছিলেন অগ্রগামী। তিনি ছিলেন ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে ছায়ানট বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ঐতিহ্য গড়ে তোলে।

দীর্ঘ কর্মজীবনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) এবং ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা।

তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।