ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সেই শ্মশানের পিলার ভাঙার ঘটনায় মতবিনিময় সভা, হিন্দুদের সন্তুষ্টি প্রকাশ মৌলভীবাজারে ভারত থেকে পুশইন হয়ে আটক ৫৯ জনকে পুলিশে হস্তান্তর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মীরগঞ্জ-মুলাদি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুজনের শরীরে আগুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার খালাতো ভাই তুহিনের জামিন মঞ্জুর বগুড়ায় ঋণের চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যা স্ত্রীকে মারপিট নিষেধ করায় বড় ভাইকে হাতুড়িপেটায় হত্যা; ছোট ভাই আটক মির্জাপুর উপজেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ ও ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কাজ দমনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে; বললেন নতুন ওসি রাশেদুল ইসলাম বাবুগঞ্জে অস্থায়ী নদীর বাঁধ নির্মাণের স্থান পরিবর্তনের প্রতিবাদে নদীরপাড়ে ১ কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন ভালুকায় ছুরিকাঘাতে একজন খুন বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে হিরো আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা মাত্র ২০০ টাকার জন্য বাজিতপুরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন: এলাকাজুড়ে শোক ও উত্তেজনা

সংস্কৃতিকজন ও রবীন্দ্রগবেষক ড. সানজীদা খাতুন আর নেই

ড. সানজীদা খাতুন

বিশিষ্ট সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্রগবেষক ও সংগীতজ্ঞ ড. সানজীদা খাতুন আর নেই। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ।

১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্ম নেওয়া সানজীদা খাতুন ছিলেন একাধারে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, গবেষক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও শিক্ষক। তার বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক এবং মা সাজেদা খাতুন ছিলেন গৃহিণী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন।

সংগীত ও সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি তিনি ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন চলাকালে সহযোদ্ধাদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘মিনু আপা’ নামে। এছাড়া সাংগঠনিক কাজেও ছিলেন অগ্রগামী। তিনি ছিলেন ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে ছায়ানট বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ঐতিহ্য গড়ে তোলে।

দীর্ঘ কর্মজীবনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) এবং ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা।

তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সেই শ্মশানের পিলার ভাঙার ঘটনায় মতবিনিময় সভা, হিন্দুদের সন্তুষ্টি প্রকাশ

Verified by MonsterInsights

সংস্কৃতিকজন ও রবীন্দ্রগবেষক ড. সানজীদা খাতুন আর নেই

আপডেট সময় ০৬:০১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

বিশিষ্ট সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্রগবেষক ও সংগীতজ্ঞ ড. সানজীদা খাতুন আর নেই। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ।

১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্ম নেওয়া সানজীদা খাতুন ছিলেন একাধারে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, গবেষক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও শিক্ষক। তার বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক এবং মা সাজেদা খাতুন ছিলেন গৃহিণী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন।

সংগীত ও সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি তিনি ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন চলাকালে সহযোদ্ধাদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘মিনু আপা’ নামে। এছাড়া সাংগঠনিক কাজেও ছিলেন অগ্রগামী। তিনি ছিলেন ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে ছায়ানট বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ঐতিহ্য গড়ে তোলে।

দীর্ঘ কর্মজীবনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) এবং ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা।

তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।