ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পদ্মা সেতু হয়ে ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’ যাত্রীবাহী ট্রেনটি বেনাপোলে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রূপসী বাংলা ট্রেনটি যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম এ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর আগে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’ (৮২৮) ট্রেনটি আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। বিকাল সাড়ে ৪ টায় বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৯২৭ জন যাত্রী নিয়ে প্রথমবার ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে রূপসী বাংলা (৮২৭) ট্রেনটি। ট্রেনটি দিনে দুইবার ঢাকা-বেনাপোল পথে চলাচল করবে।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান জানান, বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’ নামে ট্রেনটি সাপ্তাহিক একদিনের বিরতি রেখে সোমবার নিয়মিত যাতায়াত করবে। এই রুট চালু হওয়ায় যাতায়াতের সময় কমেছে। নতুন চালু করা এ ট্রেনে মাত্র পৌনে চার ঘণ্টায় বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যাবে। যা বর্তমানে ট্রেনে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল-ঈশ্বরদী-রাজবাড়ী হয়ে বেনাপোল যেতে ৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট লাগে।পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল নতুন রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের বেনাপোল থেকে ঢাকা যেতে প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় বাঁচবে। নতুন এ ট্রেনে মাত্র পৌনে চার ঘণ্টায় বেনাপোল থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যাবে।
যাত্রাপথে ট্রেনটি যশোর জংশন, নড়াইল, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন থেকে যাত্রী ওঠাবে। ট্রেন দু’টিতে ১২টি কোচে মোট ৭৬৮টি আসন থাকবে। ৭৬৮ আসনের ট্রেনটির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত শোভন চেয়ার ৪৪৫, স্নিগ্ধা ৭৪০, এসি সিট ৮৮৫ এবং এসি বার্থের ভাড়া এক হাজার ৩৩০ টাকা। এছাড়া সব শ্রেণির ভাড়ার সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট যুক্ত হবে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম আনু জানান, রূপসী বাংলা ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ৭ টায় এবং বেনাপোল থেকে বিকাল ৪ টায় ছাড়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা ব্যবসায়ী সংগঠন। এই সময়টা নির্ধারণ করলে বেনাপোলে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিস করে আবার বাড়ি ফিরতে পারবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান, বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুজ্জামান, পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।