বদলগাছীর নহেলা কাষ্টগাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৬টি সেডের ৮০টি ঘরের শুধু ছাউনির ১ হাজার ২৪টি টিন বৈশাখী ঝড়ে উড়ে যাবার পর টিনগুলো হরিলুট করা হলেও নেই কোন ব্যবস্থা। এ সংক্রান্ত অর্থাৎ প্রকল্পটির সার্বিক তথ্যাদির ফাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)র অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত নেই বলে তিনটি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
২০২৩ সালে ১৬টি সেডে ৮০টি ঘর নির্মাণের পর ঘরগুলো নির্ধারিত ব্যক্তিদের নিকট হস্তান্তর করার পূর্বেই কালবৈশাখীর ঝড়ে ৮০টি ঘরের উপরের ছাউনি টিন উড়ে আশপাশের পুকুরসহ বিভিন্ন স্থানে পড়ে।
সরেজমিন তদন্তকালে পূর্বের নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আকলিমা, উমিছা, বেলী, ফেন্সি সহ কতিপয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতিটি সেডে ৫টি পরিবারের জন্য ৫টি করে ঘর নির্মাণ করে প্রতি সেডে শুধু ছাউনিতে ৬৪টি করে টিন ছিল।
তারা আরও বলেন, মথুরাপুর ইউনিয়নের তৎকালীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান (বর্তমানে পলাতক) মাসুদ রানা কিছু টিন নিয়ে গেলেও বাকী টিন এবং ঘরের চারদিকে বেড়ার টিন ও কাঠের বাটাম রাতের আধারে কে বা কারা খুলে নিয়ে যায়।
এছাড়াও তারা জানান, হরিলুটের মতো টিনগুলো লুট করা হলেও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই।
প্রকল্পটির বরাদ্দসহ সার্বিক তথ্যাবলি এবং টিনগুলো লুটপাট হয়ে যাওয়ার তথ্য জানার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের কার্যালয়ে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ আতিয়া খাতুনের কার্যালয়ে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান ছনির কার্যালয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা তিনজনেই বলেন, উপরোল্লিখিত ঘর নির্মাণ বিষয়ক কোন ফাইল তাদের কার্যালয়ে সংরক্ষিত নেই।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, লুট হয়ে যাওয়া টিনগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।