ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ব্যবহার নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করল ছাত্র ময়মনসিংহে র‍্যাবের হাতে ভুয়া মেজর ও গণধর্ষণের মামলায় আটক ৬ পাইকগাছায় অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান: সাত মাস্টার এজেন্ট আটক না ফেরার দেশে চলে গেলেন পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্ত ১২৯ বয়সী প্রবীণতম মহামানব হবিগঞ্জের স্বামী শিবানন্দ বাবাজী বদলগাছীর নহেলা কাষ্টগাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পের ৮০টি ঘরের টিন লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষকরা ধানের দাম ন্যায্য মূল্য পায়নি? যশোরে ধারের ২০ টাকা ফেরত চাওয়ায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রকে হত্যা চেষ্টা বাবুগঞ্জে উন্নয়ন কাজে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ বাবুগঞ্জে বখাটের হামলায় মসজিদের ইমাম গুরুতর আহত; থানায় অভিযোগ দায়ের বগুড়ায় আমের লোভ দেখিয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার ১ লালপুরে অস্ত্রের ঝনঝনানি, উদ্ধারের নেই তৎপরতা, মাদকে ছড়াছড়ি বেড়েছে চুরি কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বসতবাড়ি সহ ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

বদলগাছীর নহেলা কাষ্টগাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পের ৮০টি ঘরের টিন লুটপাট

বদলগাছীর নহেলা কাষ্টগাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৬টি সেডের ৮০টি ঘরের শুধু ছাউনির ১ হাজার ২৪টি টিন বৈশাখী ঝড়ে উড়ে যাবার পর টিনগুলো হরিলুট করা হলেও নেই কোন ব্যবস্থা। এ সংক্রান্ত অর্থাৎ প্রকল্পটির সার্বিক তথ্যাদির ফাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)র অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত নেই বলে তিনটি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

২০২৩ সালে ১৬টি সেডে ৮০টি ঘর নির্মাণের পর ঘরগুলো নির্ধারিত ব্যক্তিদের নিকট হস্তান্তর করার পূর্বেই কালবৈশাখীর ঝড়ে ৮০টি ঘরের উপরের ছাউনি টিন উড়ে আশপাশের পুকুরসহ বিভিন্ন স্থানে পড়ে।

সরেজমিন তদন্তকালে পূর্বের নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আকলিমা, উমিছা, বেলী, ফেন্সি সহ কতিপয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতিটি সেডে ৫টি পরিবারের জন্য ৫টি করে ঘর নির্মাণ করে প্রতি সেডে শুধু ছাউনিতে ৬৪টি করে টিন ছিল।

তারা আরও বলেন, মথুরাপুর ইউনিয়নের তৎকালীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান (বর্তমানে পলাতক) মাসুদ রানা কিছু টিন নিয়ে গেলেও বাকী টিন এবং ঘরের চারদিকে বেড়ার টিন ও কাঠের বাটাম রাতের আধারে কে বা কারা খুলে নিয়ে যায়।

এছাড়াও তারা জানান, হরিলুটের মতো টিনগুলো লুট করা হলেও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই।

প্রকল্পটির বরাদ্দসহ সার্বিক তথ্যাবলি এবং টিনগুলো লুটপাট হয়ে যাওয়ার তথ্য জানার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের কার্যালয়ে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ আতিয়া খাতুনের কার্যালয়ে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান ছনির কার্যালয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা তিনজনেই বলেন, উপরোল্লিখিত ঘর নির্মাণ বিষয়ক কোন ফাইল তাদের কার্যালয়ে সংরক্ষিত নেই।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, লুট হয়ে যাওয়া টিনগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ব্যবহার নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করল ছাত্র

Verified by MonsterInsights

বদলগাছীর নহেলা কাষ্টগাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পের ৮০টি ঘরের টিন লুটপাট

আপডেট সময় ১২:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

বদলগাছীর নহেলা কাষ্টগাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৬টি সেডের ৮০টি ঘরের শুধু ছাউনির ১ হাজার ২৪টি টিন বৈশাখী ঝড়ে উড়ে যাবার পর টিনগুলো হরিলুট করা হলেও নেই কোন ব্যবস্থা। এ সংক্রান্ত অর্থাৎ প্রকল্পটির সার্বিক তথ্যাদির ফাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)র অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত নেই বলে তিনটি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

২০২৩ সালে ১৬টি সেডে ৮০টি ঘর নির্মাণের পর ঘরগুলো নির্ধারিত ব্যক্তিদের নিকট হস্তান্তর করার পূর্বেই কালবৈশাখীর ঝড়ে ৮০টি ঘরের উপরের ছাউনি টিন উড়ে আশপাশের পুকুরসহ বিভিন্ন স্থানে পড়ে।

সরেজমিন তদন্তকালে পূর্বের নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আকলিমা, উমিছা, বেলী, ফেন্সি সহ কতিপয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতিটি সেডে ৫টি পরিবারের জন্য ৫টি করে ঘর নির্মাণ করে প্রতি সেডে শুধু ছাউনিতে ৬৪টি করে টিন ছিল।

তারা আরও বলেন, মথুরাপুর ইউনিয়নের তৎকালীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান (বর্তমানে পলাতক) মাসুদ রানা কিছু টিন নিয়ে গেলেও বাকী টিন এবং ঘরের চারদিকে বেড়ার টিন ও কাঠের বাটাম রাতের আধারে কে বা কারা খুলে নিয়ে যায়।

এছাড়াও তারা জানান, হরিলুটের মতো টিনগুলো লুট করা হলেও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই।

প্রকল্পটির বরাদ্দসহ সার্বিক তথ্যাবলি এবং টিনগুলো লুটপাট হয়ে যাওয়ার তথ্য জানার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের কার্যালয়ে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ আতিয়া খাতুনের কার্যালয়ে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান ছনির কার্যালয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা তিনজনেই বলেন, উপরোল্লিখিত ঘর নির্মাণ বিষয়ক কোন ফাইল তাদের কার্যালয়ে সংরক্ষিত নেই।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, লুট হয়ে যাওয়া টিনগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।