কর্মদক্ষতা আর শ্রেণিকক্ষে সুদক্ষভাবে পাঠদানে অবদান রাখায় খুলনার কয়রা উপজেলার সদরে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ সুন্দনবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেবদাস মন্ডল আবারো শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মানদণ্ড যাচাইবাচাই বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্বের তিন ফলাফলের ওপর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক সনদে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে সুন্দনবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী সহকারী শিক্ষক (গণিত) দেবদাস মন্ডল শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষকের সম্মাননা দেওয়া হয়।তিনি ২০১৭ সালেও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
দেবদাস মন্ডল কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়ন গাজীনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (বিএল) থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর (উদ্ভিদ বিজ্ঞান) ডিগ্রী লাভ করেন এবং খুলনা সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি লাভ করেন।তাঁর বাবা নির্মল কুমার মন্ডল চান্নিরচক এলসি কলেজিয়েট স্কুলের অবসারপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং তাঁর সহধর্মীনী রাধারাণী মন্ডল কয়রা মদিনাবাদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সর্বজনগুণী ব্যক্তি খায়রুল আলম বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, উপকরণ ব্যবহার, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মূল্যায়ন পারদর্শিতা, অংশীজনের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব, চারিত্রিক দৃঢ়তা, সততা, চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সক্ষমতা, প্রযুক্তির ব্যবহার ও মূল্যায়নের রেকর্ড সংরক্ষণ দক্ষতা, পুস্তক প্রণয়ন, পেশাগত সৃজনশীল প্রকাশনা, গুণগত মানের শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও উত্তম চর্চার নিদর্শন, আর্থিক শৃঙ্খলা এবং কার্যকর শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় পারদর্শিতার বিচারে দেবদাস মন্ডল শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হয়েছেন। শ্রেষ্ঠ এই শ্রেণি শিক্ষক সবসময় নিজেকে শিক্ষার বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত রাখেন।
শিক্ষক দেবদাস মন্ডল পেশাগত দায়িত্ব যথারীতি সুনামের সাথে পালন করায় অল্পদিনের মধ্যে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক মাঝে তাঁর সুখ্যাতি ও জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।
এক প্রতিক্রিয়ার দেবদাস মন্ডল বলেন, ‘এ অর্জন আমার একার নয়। এ জন্য আমার প্রতিষ্ঠান প্রধান খায়রুল আলম, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি। এই কৃতিত্ব ধরে রাখতে আমি সর্বদা চেষ্টা করবো।’