প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র একটি বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এতে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।”
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, “এটা একেবারে প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ। সরকারের এতে কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং আমরা এটিকে একান্তই বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করছি।”
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়, যতক্ষণ না ঘোষণাটি প্রকাশিত হয়। আমাদের কাছে বিষয়টি তখন পর্যন্ত স্পষ্ট হবে না।”
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা একের পর এক রহস্যজনক স্লোগান প্রকাশ করেন, যা ৩১ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের কথা জানায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র চলছে। এটি গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃততা এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে একত্রিত হয়ে নতুন বাংলাদেশের ঘোষণা দেওয়া হবে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, “বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আগে দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টর থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “এ ঘোষণাপত্র বাংলাদেশে নতুন সিস্টেমের সূচনা করবে, যা দেশের সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে থাকবে। এটি নতুন নেতৃত্বের জন্য একটি নির্দেশক হয়ে থাকবে।”