মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নুরজাহান চা বাগানে এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার পিটুনিতে আলাল মিয়া নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় পিটুনিতে আরো দুই ডাকাত গুরুতর আহত হন। তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহত ডাকাতের বাড়ি সিলেটে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলা বাজার এলাকায়।
শনিবার (২৩ নভেম্বর ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরজাহান চা বাগান এলাকার মো. সালেহ আহমেদের বাড়িতে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত হানা দেয়। এ সময় ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে চা বাগানের পাগলা ঘণ্টা পেটালে স্থানীয় চা শ্রমিকরা ডাকাতদের ঘেরাও দেয়। এ সময় ডাকাতরা স্থানীয় জনতার ওপর হামলা করতে এগিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাদের ধরে গণধোলাই দিলে ঘটনাস্থলে আলাল মিয়া নামের এক ডাকাত নিহত হয়।
বাকিরা পালিয়ে গেলে রবিবার ভোরে রক্তের ছাপ দেখে চা বাগানের ভেতর থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত আবুল মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেককে তীরবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে পুলিশ জানায়, রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসা বাকি ডাকাত সদস্যরা মাধবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসিদ আলির ভাতিজা সেজুল মিয়া লংগুরপাড় গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চারজন ডাকাত পালিয়ে গেলে সেজুল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে সকাল ৯টায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানের সেকশন থেকে হাতের কব্জি কাটা অবস্থায় শ্রীপুর গ্রামের শ্রাবণ মিয়ার ছেলে জসিম মিয়াকে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করে স্থানীয় চা শ্রমিকরা।
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আখঞ্জি একজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জনরোষ থেকে দুই ডাকাতকে গুরুতর আহত উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞতনামা ডাকাতের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।