ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ব্যক্তি নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিৎ: ড. ইউনূস মুন্নী সাহার ১৩৪ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেন ৬৫ পণ্যে বাড়ানো হচ্ছে ভ্যাট নাগরপুরে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন গোমস্তাপুরে জাতীয় সমাজ সেবা দিবস উপলক্ষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ কমলগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত ফিলিস্তিনে আলজাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধ লালমনিরহাট সীমান্তে বিজিবির বাধায় বিএসএফের অবৈধ কাজ বন্ধ ভ্যাট বাড়ালেও নিত্যপণ্যের দামে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা নতুন বছরে নতুন বই না পেয়ে হতাশ ময়মনসিংহের লাখ লাখ শিক্ষার্থী শ্রীমঙ্গলে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা বিপিএলের টিকিট না পেয়ে তুলকালাম

প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

দেশের প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, “প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে-দেশ আর গরীব থাকবে না।”

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএসএআইডি’র ইকোফিশ-২ প্রকল্পের রেজাল্ট শেয়ারিং এবং ফেজ-আউট ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “ইকোফিশ-২ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট কমিউনিটির সদস্য, বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাদের বিজ্ঞানীদের মর্যাদা দিতে হবে, তাদের সক্ষমতা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।”

তিনি বলেন, “মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা খাদ্য ও পুষ্টি বৃদ্ধি করতে চাই। প্রকল্পে নারীদের সম্পৃক্ততা উল্লেখযোগ্য, যা তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলবে এবং ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করবে।”

ইলিশ মাছের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “মা ইলিশ রক্ষার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট জেলেদেরও রক্ষা করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন (১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর) জেলেদের কষ্ট না পেতে সরকার আরও সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “ইকোফিশ-২ প্রকল্পকে উপকূলের নদী ও সাগরে ইলিশ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।”

ইকোফিশ-২ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের সমুদ্র ও উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য এবং মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশ-এর মিশন পরিচালক রিড জে. অ্যাশলিম্যান। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, ওয়ার্ল্ডফিশের প্রোগ্রাম এবং ইমপ্যাক্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক ড. এ্যান এলিজাবেথ ফ্লেমিং, ইকোফিশ প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ড. মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন এবং ইকোফিশ-২ প্রকল্পের ফোকাল পার্সন মিস সালমা আক্তারও বক্তব্য দেন।

সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৫:৩০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

দেশের প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, “প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে-দেশ আর গরীব থাকবে না।”

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএসএআইডি’র ইকোফিশ-২ প্রকল্পের রেজাল্ট শেয়ারিং এবং ফেজ-আউট ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “ইকোফিশ-২ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট কমিউনিটির সদস্য, বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাদের বিজ্ঞানীদের মর্যাদা দিতে হবে, তাদের সক্ষমতা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।”

তিনি বলেন, “মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা খাদ্য ও পুষ্টি বৃদ্ধি করতে চাই। প্রকল্পে নারীদের সম্পৃক্ততা উল্লেখযোগ্য, যা তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলবে এবং ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করবে।”

ইলিশ মাছের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “মা ইলিশ রক্ষার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট জেলেদেরও রক্ষা করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন (১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর) জেলেদের কষ্ট না পেতে সরকার আরও সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “ইকোফিশ-২ প্রকল্পকে উপকূলের নদী ও সাগরে ইলিশ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।”

ইকোফিশ-২ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের সমুদ্র ও উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য এবং মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশ-এর মিশন পরিচালক রিড জে. অ্যাশলিম্যান। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, ওয়ার্ল্ডফিশের প্রোগ্রাম এবং ইমপ্যাক্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক ড. এ্যান এলিজাবেথ ফ্লেমিং, ইকোফিশ প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ড. মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন এবং ইকোফিশ-২ প্রকল্পের ফোকাল পার্সন মিস সালমা আক্তারও বক্তব্য দেন।

সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।